ডেস্ক নিউজ
স্টার্টআপ বিজনেসের মাধ্যমে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে দেশে ১৫ লাখের বেশি মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
শনিবার (৩০ অক্টোবর) অর্থমন্ত্রী রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মাল্টিপারপাস অডিটোরিয়ামে তরুণ উদ্যোক্তা অর্থাৎ স্টার্টআপদের অনুপ্রাণিত করতে “উদ্ভাবন ও উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ প্রকল্প” আয়োজিত “বঙ্গবন্ধু ইনোভেশন গ্র্যান্ট ২০২১” গ্র্যান্ড ফিনালে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের আওতায় বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে স্টার্টআপ ইকোসিস্টেম’-এর যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সাল থেকে। বর্তমানে বাংলাদেশে ২ হাজার ৫০০টির বেশি স্টার্টআপ কাজ করছে। যা প্রতিনিয়তই আমাদের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। দেশে বর্তমানে ৪০ টিরও বেশি এক্সেলেরেটর এবং ইনকিউবেটর প্রোগ্রাম তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনা করছে। ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্টার্টআপ দেশে প্রচুর বিনিয়োগ নিয়ে এসেছে যা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।
মন্ত্রী বলেন, বিশ্বের বৃহত্তম মিডিয়া সংস্থা ফেসবুকের বেতনভুক্ত কোনো সাংবাদিক বা কন্টেন্ট নির্মাতা নেই। বিশ্বের বৃহত্তম ট্যাক্সি কোম্পানি উবার একটিও ট্যাক্সির মালিক নয়। এই কোম্পানিগুলো সার্ভিস সেক্টরে বিপ্লব ঘটিয়েছে। ঐতিহ্যবাহী অনেক কোম্পানির বাজার দখল করে নিয়েছে শুধু তারুণ্যের বুদ্ধিবৃত্তিক উদ্ভাবনী শক্তির মাধ্যমে।
অর্থমন্ত্রী তরুণ সমাজের উদ্দেশে বলেন, আমাদের জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবসমাজ। তরুণদের ব্যবসায় উদ্যোগ বা স্টার্টআপ সৃষ্টিতে সহায়তার লক্ষ্যে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রেখেছিলাম। সেই ধারাবাহিকতায় চলতি অর্থবছরের বাজেটেও ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি নীতিমালাও চূড়ান্ত করা হয়েছে। অচিরেই আইসিটি বিভাগ থেকে তরুণ সমাজ স্টার্ট আপ গঠনে এই তহবিল সুবিধা লাভ করতে পারবে। যুবসমাজকে সুসংগঠিত, সুশৃঙ্খল এবং উৎপাদনমুখী শক্তিতে রূপান্তরে সরকারের এ কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত থাকবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৮ হাজার ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। যেখানে আমাদের শিশু ও তরুণরা সকল প্রকার প্রযুক্তি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ভবিষ্যৎ পৃথিবীতে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য তৈরি হচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, মুজিব জন্মশতবর্ষে “বঙ্গবন্ধু ইননোভেশন গ্র্যান্ট ২০২১” আয়োজনে প্রাথমিক পর্যায়ে বাংলাদেশসহ বিশ্বের ৫৭টি দেশ থেকে ৭ হাজারের অধিক উদ্যোক্তা, উদ্ভাবক ও স্টার্টআপের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ প্রমাণ করে যে, বাংলাদেশ আজ আইসিটি খাতে বিশ্বে একটি বিশ্বাসের জায়গা করে নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলক, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম পিএএ এবং বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের (বিসিসি) নির্বাহী পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব ড. মো. আব্দুল মান্নান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইডিয়া প্রকল্পের পরিচালক ও যু্গ্মসচিব মো. আব্দুর রাকিব।