নিজস্ব প্রতিবেদক:
গ্রাহককে না জানিয়ে গোপনে ডিজিটাল মিটার খুলে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগানোর অভিযোগ উঠেছে নাটোর নর্দার্ন ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানী (নেসকো)’র বিরুদ্ধে। এমন ঘটনা ঘটেছে শহরের আলাইপুরস্থ খোদ নেসকো ভবনের সামনের মহল্লার বাসিন্দা মিনহাজ এর বাড়িতে। বৃহস্পতিবার দুপুরে আপত্তি থাকা সত্বেও তাদেরকে না জানিয়ে এবং অনুপস্থিতিতে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগাতে যায় নাটোর নেসকোর স্মার্ট প্রিপেইড মিটার সুপারভাইজার মোঃ নজিবুর। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সাবডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসমাইল ও সাব এসিস্টেন্ট ইঞ্জিনিয়ার মোঃ রবিউল ইসলাম। মোবাইলে কল পেয়ে মোঃ মিনহাজ ও তার জামাতা মোঃ মেহেদি হাসান উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ করেন। সেসময় একটি স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগানো হলেও সংযোগ দেয়া হয়নি।
মোবাইলে অভিযোগ পেয়ে এই প্রতিবেদক সরেজমিনে গিয়ে দেখেন মোঃ মিনহাজের সাথে নাটোর নেসকোর সাবডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসমাইল প্রচন্ড বাকবিতন্ডায় জড়িত।
কারন উদঘাটনে মোঃ মিনহাজকে প্রশ্ন করলে জানা যায়, যারা ইতিপূর্বে প্রিপেইড মিটার লাগিয়েছে তারা অভিযোগ দিয়েছে যে নতুন স্মার্ট প্রিপেইড মিটারে বেশি বিদ্যুৎ বিল আসে। তাই তারা এখনই স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগাবেন না। যখন পূর্বে লাগানো ডিজিটাল মিটার নষ্ট হবে তখন তারা বর্তমানের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগাবেন। অথচ নেসকোর লোকেরা জোড় করে আমাদের বিনা অনুমতিতে উদ্দেশ্য প্রণোদিত ভাবে মিটার লাগাচ্ছেন।
সাব ডিভিশনাল ইঞ্জিনিয়ার মোঃ ইসমাইল জানান, নেসকোর পরিপত্রে স্মার্ট প্রিপেইড মিটারের জন্য নির্দেশনা দেয়া আছে। সেখানে মিটার ভাড়া, ডিমান্ড চার্জ, সার্ভিস চার্জ কত হবে তা উল্লেখ আছে। আবার গ্রাহকের সহযোগিতার কথাও বলা আছে।
যদিও গ্রাহককে এই মুহুর্তে স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগাতে বাধ্য থাকিবে বা লাগাতেই হবে এমন কোন নির্দেশনার কথা তিনি পরিপত্রে দেখাতে বা জানাতে পারেননি।
নেসকোর পরিপত্রে বাধ্য বাধকতা না থাকলেও এই মুহুর্তেই বিদ্যুৎ গ্রাহক স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগাতে বাধ্য কিনা এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে নাটোর নেসকোর নির্বাহি প্রকৌশলী মোঃ এনামুল আযীম ইমান জানান, নাটোরে নেসকোর অধীন ২৮ হাজার গ্রাহকের মধ্যে ২৫ হাজার গ্রাহকের স্মার্ট প্রিপেইড মিটার লাগানো হয়ে গেছে। বাকি গ্রাহকদেরও লাগাতে হবে। তবে পরিপত্রে গ্রাহক বাধ্য থাকিবে কথাটি উল্লেখ না থাকার বিষয়টি তিনি এড়িয়ে যান।