ডেস্ক নিউজ
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে রোববার (৭ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সংগঠন অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাবের আয়োজনে ‘সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বাংলাদেশ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় আলোচনা সভা শুরু হয়ে চলে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। সিডনির রকডেলের রেড রোজ ফাংশন সেন্টারে আয়োজিত আলোচনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লেবার পার্টির এমপি স্টিভ ক্যাম্পার ও এমপি আনুলাক চান্ডিভং।
শ্যাডো মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী ও এমপি স্টিভ ক্যম্পার তার বক্তব্যে বাংলাদেশের মানুষের প্রশংসা করে বলেন, অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশি কমিউনিটি বিকাশের সঙ্গে কাজ করব। এ ব্যাপারে বাংলাদেশ ও তার সরকারকে যাবতীয় সহযোগিতায় অস্ট্রেলিয়া পাশে থাকবে।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সম্পূর্ণ সদিচ্ছা রয়েছে দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বিষয়ে। প্রতিটি ঘটনায় সরকারের উচ্চপর্যায়ের নেতারা ঘটনাস্থলে গেছেন। আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগ নেতা গামা আবদুল কাদির বলেন, অবৈধ সরকার এরশাদের সময়কার অবৈধ সংসদে করা ধর্মীয় সংশোধনী সংবিধান থেকে অবৈধ ঘোষণা করতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের রায় মোতাবেকই এটি করা যায়। জিয়াউর রহমান ও এরশাদের করা সকল সংশোধনী বাতিল করতে তিনি প্রতিমন্ত্রীকে অনুরোধ করেন।
আওয়ামী লীগ অস্ট্রেলিয়ার সাধারণ সম্পাদক ড. আবুল হাসনাৎ মিলটন বলেন, কোনো এজেন্ডা নিয়ে নয়, এই সঙ্কট সমাধানে আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। একটি সমৃদ্ধ দেশ উপহার দেওয়ার জন্য শেখ হাসিনাকে তিনি ধন্যবাদ জানান।
সেমিনারের উপস্থাপনায় ছিলেন সংগঠনের সদস্য ইঞ্জিনিয়ার আল নোমান শামীম। সংগঠনকে সহযোগিতা করেছে ব্রান্ডিং বাংলাদেশ, অস্ট্রেলিয়া। আরও আলোচনা করেন- অস্ট্রেলিয়া প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাবের সভাপতি রহমতুল্লাহ, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা শফিকুল আলম ও ড. তুষার দাশ।
অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন- অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের হাই কমিশনার মোহাম্মদ শফিউর রহমান, ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী এনামুল হাসান, অস্ট্রেলিয়া আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি সেলিমা বেগম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ টুটুল, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নির্মল্য তালুকদার আরও বক্তব্য রাখেন পল মধু।
সেমিনারের মূল প্রস্তাবনা হিসেবে তিনটি বিষয় উঠে আসে, যা বাংলাদেশ সরকারের ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ও বাংলাদেশ হাই কমিশনের মাধ্যমে প্রস্তাব করা হয়। সেগুলো হলো:
ধর্মীয় অসহিষ্ণুতার কারণে ঘটা অপরাধের শাস্তি
অবৈধ এরশাদ সরকারের অবৈধ সংসদে পাশ করা রাষ্ট্রধর্ম অধ্যাদেশ বাতিল
শিক্ষা ব্যবস্থা পুরোপুরি অসাম্প্রদায়িক করা
সর্বধর্মীয় এই সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক আবু রেজা আরেফিন, কমিউনিটির সিনিয়র নেতা আব্দুল জলিল, এমদাদ হক, আসলাম মোল্লা, সাংবাদিক আকাশ দে, মিজানুর রহমান সুমন, মো. জাহাঙ্গীর, অন্নপূর্না দে, ড. বিপ্লব সাহা, দিবাকর সমাদ্দার, সাদ্দাম হোসেনসহ বেশ কয়েকটি মিডিয়ার সাংবাদিকরা।