নিজস্ব প্রতিবেদক:
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোঃ মেসবাহুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার দুপুরে নাটোরে আইপিএম প্রশিক্ষক প্রশিক্ষণ কোর্সের মাঠ দিবস কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ করেছেন।
নাটোর হর্টিকালচার সেন্টারে দেশের ৪০টি উপজেলার মোট ৮০ জন উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও উপ সহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা ১২০দিনের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমের সমাপনী দিনে এই মাঠ দিবস আয়োজন করা হয়। সমাপনী অনুষ্ঠানে সিনিয়র কৃষি সচিব বলেন, স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে কৃষির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশের উন্নয়ন নিশ্চিত করতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সবুজ বিপ্লবের ডাক দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধুর নির্দেশিত পথে বর্তমান সরকার কৃষি-বান্ধব সরকার হিসেবে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কার্যক্রম শুরু করে। রাসায়নিক সারের মূল্য পাঁচ দফায় কমিয়ে কৃষক পর্যায়ে সহজলভ্য করা হয়েছে। এই খাতে ২০ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি প্রদান করছে সরকার। সেচেও বড় আঙ্গিকে ভর্তুকি প্রদান করা হচ্ছে। সরকারের কৃষি-বান্ধব নীতির কারনে দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে। বর্তমানে দেশের কৃষি দৃঢ় ভিত্তির উপর দাঁড়িয়েছে।
মোঃ মেজবাহুল ইসলাম বলেন, বর্তমান সরকার উত্তম কৃষি নীতি প্রণয়ন করেছে। এই নীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে কৃষিকে টেকসই, নিরাপদ ও লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। কৃষির উন্নয়নে নতুন জনবল নিয়োগ এবং তাদের দক্ষতার উন্নয়নে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে নিয়মিতভাবে। গবেষনার মাধ্যমে নতুন প্রযুক্তির উদ্ভাবনেও সরকার জোড় দিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কৃষিবিদ মোঃ আসাদুল্লাহ্ এবং কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের নির্বাহী চেয়ারম্যান ড. শেখ মোঃ বখতিয়ার বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন। পরিবেশ বান্ধব কৌশলের মাধ্যমে নিরাপদ ফসল উৎপাদন প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক আহসানুল কহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য দেন কোর্স কো-অর্ডিনেটর কৃষিবিদ সাঈদা আক্তার পরাগ, কৃষক আছিয়া বেগম প্রমুখ।
অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সাথে নাটোরে বছরে প্রায় ১৩ হাজার টন এলোভেরা উৎপাদনে আলোচনাকালে সিনিয়র কৃষি সচিব এলোভাবে উৎপাদনে কৃষক পর্যায়ে প্রশিক্ষণ ও প্রণোদনাসহ সকল সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করার জন্যে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশনা দেন। নাটোর চিনিকলে কো-প্রডাকশনের বিষয় বিবেচনায় নিয়ে এলোভেরার জুস উৎপাদনের বিষয়টি শিল্প মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করা হবে বলে সচিব আশ্বাস দেন।
হর্টিকালচার সেন্টার প্রাঙ্গণে আইপিএম উপাদান বুথ, উপকার ও অপকারী পোকামাকড়, বন্ধু পোকার বৃদ্ধি ও সংরক্ষণ, বালাইনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব ও ঝুঁকি হ্রাসের কৌশল ইত্যাদি ছয়টি বিষয়ের প্রদর্শনী পর্যবেক্ষণ করেন সিনিয়র কৃষি সচিবসহ অতিথিবৃন্দ।