ডেস্ক নিউজ
সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিক রোগীদের আগামীতে ইনসুলিন ফ্রি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক।
তিনি বলেন, ‘সরকারি হাসপাতালে ডায়াবেটিস রোগীদের বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। আগামীতে ইনসুলিনও ফ্রি দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে।’
বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে আজ বৃহস্পতিবার এক গোলটেবিল বৈঠকে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ এ কথা বলেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নন কমিউনিকেবল ডিজিজ কন্ট্রোল প্রোগ্রাম (এনসিডিসি) এবং বাংলাদেশ ডায়াবেটিস সমিতি (বাডাস) কর্তৃক বিশ্ব ডায়াবেটিস দিবস উপলক্ষে ‘ডায়াবেটিস চিকিৎসা: বর্তমান ও আগামীর ভাবনা’ বিষয়ে এই গোলটেবিল আলোচনার আয়োজন করে।
জাহিদ মালেক বলেন, সবার জানা প্রয়োজন, শহর বা গ্রামের প্রতিটি হাসপাতাল থেকেই এখন বিনামূল্যে ডায়াবেটিস রোগের প্রায় সকল ওষুধ ও চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে দেয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি খুব দ্রুতই ডায়াবেটিস রোগের জন্য ব্যয়বহুল চিকিৎসা সামগ্রী ইনসুলিনও বিনামূল্যে দেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে সরকারের অন্যান্য জটিল রোগের চিকিৎসা সেবা বিনামূল্যে পাবার পাশাপাশি ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসাও মানুষ ঘরের পাশে থাকা যেকোনো হাসপাতাল বা কমিউনিটি ক্লিনিকেই পাবেন।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘নন কমিউনিকেবল ডিজিসের কারণে দেশের অন্তত ৬১ ভাগ মানুষ কোনোনা কোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় ভোগেন। নন কমিউনিকেবল অন্যান্য রোগের মধ্যে ডায়াবেটিস রোগ অন্যতম। ডায়াবেটিস রোগটি নিরবে শরীরে চলে আসে।’
তিনি বলেন, দেশের প্রান্তিক অঞ্চলের পাশাপাশি শহরের মানুষজনও অনেকেই স্বাস্থ্য সচেতনতা বা ডায়াবেটিস নিয়ে তেমন একটা সচেতন নয়। একটি জড়িপ থেকে জানা গেছে, দেশের মাত্র ১২ ভাগ মানুষের ডায়াবেটিস এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আবার অনেক মানুষই চিকিৎসার টাকার অভাবে ডায়াবেটিস রোগের চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে যাননা।
জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশের অনেক দেশই এখনো করোনা নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে হিমশিম খাচ্ছে। রাশিয়ায় দিনে হাজারো মানুষ মারা যাচ্ছে। বাংলাদেশ এখন অনেক নিরাপদ আছে। এর কারণ অনেক। হাসপাতালে সঠিকভাবে করোনার চিকিৎসা দেয়া, সরকারের অতি দ্রুত ভ্যাক্সিন ব্যাবস্থা করা ও সেটি মানুষকে দেয়া অন্যতম।’