ডেস্ক নিউজ
রাজধানীর হাতিরঝিল ও ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে (রামপুরা ব্রিজের পাশে) কফিশপসহ ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করতে যাচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৮ নভেম্বর) ‘বিশ্ব শৌচাগার দিবস ২০২১’ উপলক্ষে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, আমরা হাতিরঝিল ও ইস্ট-ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে একটি ফুট ওভারব্রিজ নির্মাণ করবো। বিভিন্ন দেশে দেখেছি ফুট ওভারব্রিজে কফিশপ থাকে। আমরা এই ফুট ওভারব্রিজ চওড়া করে করবো। এখানে কফিশপও থাকবে। যারা কফিশপ করবে, তারাই এটি মেইনটেইন করবে। এটার নকশা প্রস্তুত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো দেশে এমন কিছু হতে যাচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘শৌচাগারের মূল্যায়ন’ যা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী। ডিএনসিসি এলাকায় ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপ ব্যবহার করে খুব সহজেই গণশৌচাগারের অবস্থানসহ সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি পাওয়া যায়। যেকোন নাগরিক প্রয়োজনের সময় তার নিকটস্থ গণশৌচাগার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়া গুরুত্বপূর্ণ মতামত কিংবা অভিযোগ অ্যাপের মাধ্যমেই ডিএনসিসির নিকট তুলে ধরতে পারেন।
তিনি বলেন, নাগরিকদের সুবিধার্থে ইতোমধ্যে ডিএনসিসি এবং বিভিন্ন এনজিওর উদ্যোগে নির্মিত সর্বমোট ১৬৩টি গণশৌচাগার সম্পর্কিত তথ্যাদি ‘সবার ঢাকা’ মোবাইল অ্যাপে সংযুক্ত করা হয়েছে।
মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, সুস্থ পরিবেশের স্বার্থেই নগরীর বাসাবাড়িগুলোতে আধুনিক সেপটিক ট্যাংক ও সোক ওয়েল স্থাপন করতে হবে এবং পরিশোধন ব্যবস্থাও সচল রাখতে হবে। ডেভেলপার কোম্পানিগুলোকে ভবন নির্মাণের পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য কার্যকর ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, সেপটিক ট্যাংকবিহীন ভবনগুলোতে নির্ধারিত ৬ মাসের মধ্যে কার্যকর সেপটিক ট্যাংক নিশ্চিত করতে না পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অপরিকল্পিত ঢাকাকে সবাই মিলে সবার বাসযোগ্য সুস্থ, সচল ও আধুনিক ঢাকায় রূপান্তরিত করতে হবে।
রামপুরা ব্রিজের পাশে হবে ফুট ওভারব্রিজ, থাকবে কফিশপ
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে উত্তর সিটির সব এলাকা নিয়ে একটি ইমারজেন্সি অপারেটিং সেন্টার চালু করা হবে জানিয়ে মেয়র আতিক বলেন, যে কয়টা টয়লেট আমরা করেছি সিটি করপোরেশন থেকে তাতে আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা লাগিয়েছি। বিভিন্ন খালেও কিন্তু এখন সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো শুরু করেছি। মোহাম্মদিয়া হাউজিং সোসাইটির খাল পরিষ্কার করার পর সেখানে ক্যামেরা লাগানো হয়েছে, এখন কিন্তু কেউ ময়লা ফেলে না। কারণ জানে ক্যামেরা থাকলে যেই হোক না কেন তাকে নিয়ে আসবো আইনের আওতায়।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, ডেভেলপররা একটি বাড়ি বানানোর পর গ্যারেজের জায়গাটা বিক্রি করে। আপনি ৫০ লাখ নেন বা ৪০ লাখ নেন আমার তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু সেই বাড়িতে আপনাকে মানব বর্জ্য ব্যবস্থাপনা পুরোপুরি থাকতে হবে। এটি কিন্তু বলে দিচ্ছি। নাহলে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে আসবো।
জায়গার অভাবে ফান্ড থাকার পরেও রাজধানীতে পাবলিক টয়লেটের সংখ্যা বৃদ্ধি করা যাচ্ছে না বলেও জানান মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, রাজধানীতে পাবলিক টয়লেটের জন্য আমাদের এখন জায়গা দরকার। সিটি করপোরেশনের কিন্তু এক কাঠা জমিও নেই। ঢাকার জমি হচ্ছে রেলওয়ের, রাজউকের, পিডব্লিউডি বা বিভিন্ন ডেভলপারের। টয়লেট করার জন্য আমার কাছে এখনো ফান্ড আছে, আরও ৩৫ টি টয়লেট আমি করতে পারবো।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএনসিসির এডিশনাল চিফ ইঞ্জিনিয়ার তারিক বিন ইউসুফ, ইসডোর এডভাইজর অতুল কুমার মজুমদার, ডিএসকের ডিরেক্টর (ওয়াশ) এম এ হাকিম, ইউনিলিভার বাংলাদেশের মার্কেটিং ডিরেক্টর মো. শাদমান সাদিকিন, ভূমিজ প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও ফারহানা রশিদ প্রমুখ।