নিজস্ব প্রতিবেদক:
নির্বাচন কমিশনার রফিকুল ইসলাম বলেছেন, আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। এই লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন কার্যকর সকল পদক্ষেপ গ্রহন করেছে।
আগামী ২৮ নভেম্বর নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার এসব কথা বলেন। উপজেলা জিমনেশিয়ামে আয়োজিত এই কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন রাজশাহী বিভাগীয় আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ফরিদুল ইসলাম, নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা, জেলা নির্বাচন অফিসার আছলাম উদ্দিন এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, পূর্ববর্ত্তী নির্বাচনগুলোতে নির্বাচনের পূর্ববর্ত্তী দিনে কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসারদের নিকট ভোট গ্রহনের অন্যান্য সরঞ্জামাদির সাথে ব্যালট পেপার হস্তান্তর করা হতো। এখন নির্বাচনের দিন সকালে কেন্দ্রগুলোতে ব্যালট পেপার পৌঁছনো হচ্ছে। এর সুফল হিসেবে রাতে ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগমুক্ত নির্বাচন আয়োজন এবং কেন্দ্রগুলোতে ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যাচ্ছে।
ভোটগ্রহন কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, নির্বাচন কমিশন নির্বাচনের নীতিমালা প্রণয়ন এবং নির্দেশনা প্রদান করে আর আপনারা ভোটকেন্দ্রে ঐ নির্দেশনা বাস্তবায়ন করেন। বাস্তবায়ন কাজ সঠিক হলে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ইতিবাচক হয়। তাই আপনাদের উপরই অভিযোগমুক্ত নির্বাচন আয়োজন নির্ভর করছে। কোন পেশী শক্তির কাছে আপনারা মাথা নত করবেন না। ভোটগ্রহনের দিনসহ এর পূর্ববর্ত্তী ও পরবর্ত্তী সময়ে আপনাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
জনপ্রতিনিধিবৃন্দের উদ্দেশ্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটের দিনে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দিয়ে চলে যাবেন, কেন্দ্রে অবস্থান করবেন না। কোন প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করবেন না।
জেলা নির্বাচন অফিসার আছলাম উদ্দিন জানান, নাটোরের বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহন কর্মকর্তাদের দুই দিনের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় গতকাল ৬০০ জন পোলিং অফিসার প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন। আজ দ্বিতীয় দিনে ৪৮ জন প্রিজাইডিং অফিসার এবং ২৯৫ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশগ্রহন করছেন।
প্রশিক্ষিত ভোট গ্রহনকারী কর্মকর্তাবৃন্দ আগামী ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিতব্য বাগাতিপাড়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোট গ্রহনের দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন। নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২৬ জন, সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার পদে ৫৯ জন এবং মেম্বার পদে ১৯২ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। উপজেলার ৪৮টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহন করা হবে।