ডেস্ক নিউজ
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সব বাধাবিপত্তি ও ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এই গতি যেন আর কেউ রোধ করতে না পারে- সে জন্য সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। তিনি বলেন, অনেক রকম চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র থাকবে। সেগুলো মাথায় নিয়ে আমাদের চলতে হবে। যতই সমালোচনা হোক, বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে আমরা কাজ করে যাচ্ছি এবং করে যাব। বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে।
গতকাল রোববার একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, মুজিব জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী পালনকালে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক বড় অর্জন ও বিরল সম্মান। সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এগিয়েছি বলেই আমরা এটা অর্জন করতে পেরেছি। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে তা বাস্তবায়ন করেছে। সরকার বিভিন্ন কাজ করেছে খুব পরিকল্পিতভাবে। এর ফলে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হতে পেরেছি। বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এবং বাঙালি জাতির জন্য একটা অনন্য উত্তরণ।
বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের সার্বিক প্রেক্ষাপট এবং এ ক্ষেত্রে তার সরকারের নেওয়া পদক্ষেপগুলো তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, জনগণের সার্বিক উন্নয়নে আমরা প্রচেষ্টা চালিয়েছি। এ ক্ষেত্রে অনেক সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছে। সমালোচনায় আমরা কান না দিয়ে অভীষ্ট লক্ষ্য নিয়ে এগিয়েছি। সঠিক দিকনির্দেশনা নিয়েই রাষ্ট্র পরিচালনা করি।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সমাপনী অধিবেশনে আরও বক্তব্য দেন বিরোধী দলের উপনেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
বিগত তিনটি সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণ প্রতিটি নির্বাচনে বিজয়ী করার কারণে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা অর্জন করেছি। এই কাজ আমরা সহজভাবে করতে পেরেছি, তা কিন্তু নয়। এই যাত্রাপথ কখনও সুগম ছিল না। আমাদের অনেক প্রতিবন্ধকতা মোকাবিলা করতে হয়েছে। অনেক সমালোচনা শুনতে হয়েছে। আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে হত্যা, গাড়িতে আগুন, অগ্নিসন্ত্রাস, হরতাল, অবরোধ হয়েছে। সেই অবরোধ বিএনপি এখনও প্রত্যাহার করেনি।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে স্বাধীনতার ১০ বছরের মধ্যেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হতো। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতার পর মাত্র সাড়ে তিন বছর যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তোলার সময় পেয়েছিলেন। পাকিস্তানের একটি প্রদেশ ছিল বাংলাদেশ। সেই প্রদেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ রাষ্ট্রে রূপ দেয়, যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশকে গড়ে তুলে মাত্র সাড়ে তিন বছরেই বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন। এর সুদীর্ঘ বছর পর আমরা এবার বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি আনতে পারলাম।
টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতাসীন থেকে দেশ ও জাতির কল্যাণে তার সরকারের পদক্ষেপ তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ‘রূপকল্প ২০৪১’ বাস্তবায়নে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছি। ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশে পরিণত করাই এখন মূল লক্ষ্য।