ডেস্ক নিউজ
ভাসানচর থেকে ৬৫ জন রোহিঙ্গার একটি দল স্বজনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে কক্সবাজারে এসেছে। গত ৩০ নভেম্বর সন্ধ্যায় তারা পৌঁছালেও গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) প্রতিনিধি ও ক্যাম্প-ইনচার্জ জহিরুল ইসলাম।
এক বছরের বেশি আগে নোয়াখালীর দ্বীপ ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো তাদের এ সুযোগ দেওয়া হলো এবং এটা চলবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
জহিরুল ইসলাম মোবাইল ফোনে জানান, কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার অনুমতি চেয়ে আমাদের কাছে বেশ কিছু রোহিঙ্গা আবেদন করে। তারই অংশ হিসেবে সরকারের অনুমতিসাপেক্ষে ভাসানচরে বসবাসকারী ৬৫ জন রোহিঙ্গার একটি দল কক্সবাজারে রেখে আসা স্বজনের সঙ্গে দেখা করতে গেছে। তবে এ দলটি যদি ঠিকঠাক ফিরে আসে, তবে এ প্রক্রিয়াটি চলমান থাকবে। তারা সেখানে ৮ দিন থাকবে।
সরকারি এক কর্মকর্তা বলেন, গত ৩০ নভেম্বর সকালে নৌবাহিনীর একটি জাহাজ এসব রোহিঙ্গাকে ভাসানচর থেকে চট্টগ্রামে নিয়ে যায় এবং সেখান থেকে দুটি বাসে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। আগামী ১৭ ডিসেম্বর রোহিঙ্গাদের এ দলটি ভাসানচরে ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
অতিরিক্ত শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ সামছু-দৌজ্জা জানান, ভাসানচরে বসবাসকারীদের অনেক স্বজন এখনও কক্সবাজারের বিভিন্ন ক্যাম্পে রয়েছে। তাদের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার জন্য ভাসানচরে বসবাসকারীরা সরকারের কাছে আবেদন করেছিল। ফলে সব দিক বিবেচনা করে তাদের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিছুদিন পর রোহিঙ্গারা আবার ভাসানচরে ফেরত যাবে।
উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পের নেতা মো. রফিক জানান, অনেক রোহিঙ্গা যাতায়াতের সুযোগ না থাকায় ভাসানচরে যেতে চায় না। এখন এখানকার লোকজন ভাসানচরে যেতে উৎসাহী হবে।
ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তর শুরু হয় ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহে। এ পর্যন্ত সেখানে গেছে প্রায় ২০ হাজার রোহিঙ্গা।