ডেস্ক নিউজ
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ২০২৫ সাল থেকে পুরোপুরি নতুন শিক্ষাক্রমে পড়বে শিক্ষার্থীরা। ২০২৩ সাল থেকে এটি ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে। এর আগে জানুয়ারিতে প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২০০ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিবর্তিত শিক্ষাক্রমের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শুরু হবে। আজকের বাংলাদেশকে আগামীর কাঙ্ক্ষিত জায়গায় নিয়ে যেতে যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, তা নিশ্চিত করতেই শিক্ষায় আমূল পরিবর্তন আনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি। সোমবার একটি অনলাইন সংবাদ মাধ্যমে অতিথি হয়ে শিক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পরীক্ষা না রাখা, এসএসসির আগে কোনো পাবলিক পরীক্ষা না নেওয়া, নবম-দশম শ্রেণিতে বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য বিভাগের বিভাজন তুলে দেওয়াসহ একগুচ্ছ পরিবর্তনের কথা বলা হচ্ছে সেখানে। এছাড়া পরীক্ষার চাপ কমাতে বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়নের আগে শিক্ষাবর্ষ জুড়ে চলবে শিখনফল মূল্যায়ন।
তিনি বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্য ‘পূর্ণ’ হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত, সমৃদ্ধ দেশ গড়ার লক্ষ্য নিয়ে সরকার এগোচ্ছে। ২১০০ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের একটা বদ্বীপ পরিকল্পনাও রয়েছে।
আবার কিছু আন্তর্জাতিক অঙ্গীকারও বাংলাদেশের রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে হবে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর সংখ্যাধিক্যের যে সুবিধার (ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ড) কথা বলা হয়, তা কাজে লাগানোর জন্য আর বছর দশেক সময় পাওয়া যাবে। এরই মধ্যে অনেক সময় নানা কারণে নষ্ট হয়ে গেছে।
মন্ত্রী বলেন, সমাপনী পরীক্ষা না থাকলেও পঞ্চম ও অষ্টমে বৃত্তি-সনদ থাকবে। শিক্ষার্থীরা যখন ধর্মশিক্ষা পড়বে, অন্য ধর্মের কথাও তাদের জানা দরকার, যাতে জানা বোঝার ঘাটতি থেকে নেতিবাচক ধারণা তার মধ্যে তৈরি না হয়। আর সরকার যখন স্কুল-কলেজের শিক্ষাক্রমে বড় ধরনের পরিবর্তন আনছে, তখন এ বিষয়টিও পাঠ্যক্রমে থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করছেন।