ডেস্ক নিউজ
ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ (আইজিপি) বেনজীর আহমেদসহ ৭ কর্মকর্তার উপর যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা আরোপ অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন আকস্মিক একতরফা সিদ্ধান্তে পুলিশের প্রতিটি সদস্য মর্মাহত ও বিব্রত।
সোমবার ১৩ (ডিসেম্বর) আইজিপিসহ ৭কর্মকর্তার উপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার ঘটনায় গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব কথা জানায় বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন।
সভাপতি এসবি প্রধান মনিরুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক উপ পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে বলা হয়, নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ, আন্তরদেশীয় ও সাইবারসহ নানা ধরণের অপরাধ দমনে বাংলাদেশ পুলিশ এবং যুক্তরাষ্ট্রের সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহ একযোগে কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও নিজেদের মধ্যে অভিজ্ঞতা বিনিময়ের পাশাপশি বাংলাদেশ পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধিতে যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রশিক্ষণ দেয়াসহ নানা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে।
এমন সৌহার্দ্যপূর্ণ এক দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বজায় থাকা অবস্থায় যুক্তরাষ্ট্র সরকারের অর্থ ও পররাষ্ট্র দপ্তর থেকে আইজিপিসহসহ ৭ কর্মকর্তার উপর যথাযথভাবে যাচাই-বাছাই ছাড়াই নিষেধাজ্ঞা আরোপ অনাকাঙ্খিত ও অপ্রত্যাশিত। যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এমন আকস্মিক একতরফা সিদ্ধান্তে বাংলাদেশ পুলিশের প্রতিটি সদস্য মর্মাহত ও বিব্রত।
পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশন, দৃড়ভাবে বিশ্বাস করে একটি চক্র যারা দেশের উন্নয়নকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, আন্তর্জাতিকভাবে বিব্রত করতে চায়, দুই দেশের পারস্পরিক পূর্ণ সহযোগিতামূলক সম্পর্ক বাধাগ্রস্ত করতে চায় তারাই আন্তর্জাতিক লবিস্ট গ্রুপের সহায়তায় ভুল, মিথ্যা বানোয়াট তথ্য সরবরাহ করে প্রকৃত অবস্থাকে গোপন করে যুক্তরাষ্ট্র সরকারকে এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণে প্রভাবিত করেছে। তাই পুলিশ সার্ভিস এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রত্যাশা করা হয় আইনের শাসন, মানবাধিকার সুরক্ষা, আন্তর্জাতিক প্রটোকল ও কনভেনশন প্রতিপালন এবং স্থিতিশীল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশের ভূমিকা সংক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্র সরকার প্রকৃত তথ্য ও অবস্থা মূল্যায়ন করে তাদের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করবে যুক্তরাষ্ট্র।