ডেস্ক নিউজ
রাষ্ট্রপতির সংলাপকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে ঐকমত্যের পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠন উপলক্ষে সার্চ কমিটি গঠনের আগে রাষ্ট্রপতি দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। ইতোমধ্যে দুটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলোচনা করেছেন। এসব আলোচনা থেকে দেশের রাজনীতিতে জাতীয় ঐকমত্যের বিষয়টি জোরালো হয়ে উঠেছে। দেশের বিশিষ্ট ৩৭ নাগরিকের বিবৃতিতেও এর প্রতিফলন দেখা যাচ্ছে। বিশিষ্ট নাগরিকগণ রাষ্ট্রপতির সংলাপে জাতীয় ঐকমত্যের আশা পোষণ করছেন। নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনের ইস্যুতে গত সোমবার থেকে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ দেশের সব নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংলাপ শুরু করেছেন। সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সঙ্গে প্রথম সংলাপে বসেন রাষ্ট্রপতি। জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈঠকের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্রপতির ধারাবাহিক সংলাপের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়েছে। একদিন বিরতি দিয়ে তিনি জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদের সঙ্গে আলোচনা করেন। আগামী সপ্তাহ থেকে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও সংলাপ করবেন রাষ্ট্রপতি। সংলাপে অংশ নেয়া দুটি রাজনৈতিক দলই রাষ্ট্রপতির সঙ্গে আলোচনায় ইতিবাচক ভূমিকা পালন করেছেন। দুটি দলেরই চাওয়া একটি গ্রহণযোগ্য ও দক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন। এছাড়া উভয় দলই চায় সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন। ইতোমধ্যে এই আইন প্রণয়নের কাজ আইন মন্ত্রণালয় শুরু করেছে। পরবর্তী কোন সংসদ অভিবেশনে হয়ত আইনটি পাস করার জন্য উত্থাপন করা হবে। তবে তার আগেই শেষ হয়ে যাচ্ছে চলতি নির্বাচন কমিশনের মেয়াদ। ফলে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষায় রাষ্ট্রপতি সার্চ কমিটি গঠনের মাধ্যমে নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যাচ্ছেন। তারই অংশ হিসেবে তিনি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছেন। রাষ্ট্রপতির এই সংলাপকে ঘিরে রাজনীতিতে নতুন করে আশার সঞ্চার হয়েছে। সেই আশাটা হচ্ছে, দেশের বিদ্যমান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য। দেশকে এগিয়ে নিতে হলে এই ঐকমত্য জরুরী। সে বিষয়টি অনুধাবন করে দেশের ৩৭ বিশিষ্ট নাগরিক বুধবার একটি বিবৃতি দিয়েছেন। এই বিবৃতির মাধ্যমে তারা রাষ্ট্রপতির সংলাপে জাতীয় ঐকমত্যের আশা করছেন। বিবৃতিতে বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতির আলাপ-আলোচনার উদ্যোগকে দেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে সময়োপযোগী ও জরুরী বলে মতামত দিয়েছেন। তারা আশা করছেন, আজকের ক্ষীণ গণতন্ত্রের বাংলাদেশে এখন আবার নতুন করে গণতন্ত্র চর্চা, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন, জবাবদিহিতা, আইনের সম ও ন্যায্য প্রয়োগ এবং আমাদের অর্থনৈতিক উন্নয়নকে সর্বময় ও বণ্টন ব্যবস্থাকে সাম্যমূলক করে তোলার জন্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও ঐকমত্যের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে রাষ্ট্রপতি আলাপ-আলোচনা করবেন।