ডেস্ক নিউজ
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে ঘোষিত মুজিববর্ষের সময় আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ বুধবার এ-সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে করোনা মহামারির কারণে মুজিববর্ষের ঘোষিত কর্মসূচি শেষ করতে না পারায় এর সময়সীমা বাড়ানো হলো।
প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে সরকার ২০২০ সালের ১৭ মার্চ থেকে ২০২১ সালের ২৬ মার্চ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করে।
মুজিববর্ষ উদযাপনের লক্ষ্যে গৃহীত কর্মসূচি কোভিড-১৯ বৈশ্বিক মহামারির কারণে নির্ধারিত সময়ে যথাযথভাবে সম্পন্ন করা সম্ভব না হওয়ায় মুজিববর্ষের সময়কাল গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধিসৌধে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন অনুষ্ঠান ও লোকজ মেলা আয়োজন, অনলাইন কুইজের পুরস্কার বিতরণ, বিভিন্ন প্রকাশনা মুদ্রণের কাজ সম্পন্ন, জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির কার্যালয়ের দাপ্তরিক কার্যাদি সম্পন্ন হয়নি। নথিপত্র, অফিস সরঞ্জামাদি, প্রকাশনাসমূহ সরকার নির্ধারিত কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর, আর্থিক বিষয়াদি নিষ্পন্ন করা, ব্যাংক হিসাব বন্ধ করা, অডিট সম্পাদনসহ বিভিন্ন কাজ সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নের লক্ষ্যে সরকার মুজিববর্ষের সময়কাল আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বর্ধিত ঘোষণা করল।
একই সঙ্গে ‘জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় কমিটি’ ও ‘জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটি’র মেয়াদ এ পর্যন্ত বর্ধিত করা হয়।
এর আগে করোনাভাইরাস মহামারির কারণে মুজিববর্ষের মেয়াদ ৯ মাস বাড়িয়ে ২০২১ সালের ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত করেছিল সরকার।
মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ তার আগে গেজেট প্রকাশ করে জানায়, ‘স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনের লক্ষ্যে ১৭ মার্চ ২০২০ থেকে ২৬ মার্চ ২০২১ সময়কে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করা হলো।
২০২০ সালে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস ১০ জানুয়ারি শুরু হয় মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা। সেদিন রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পুরাতন বিমানবন্দরে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা অনুষ্ঠান উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ওই দিন উন্মোচন করা হয় মুজিববর্ষের লোগো।
কথা ছিল ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে শুরু হবে মুজিববর্ষ। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে হবে মূল আয়োজন। রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সেদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার কথা ছিল। অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসার কথা ছিল বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের।
ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশে করোনা না এলেও এই ভাইরাসের প্রকোপে ধুঁকতে থাকে বিশ্ব। ৮ মার্চ বাংলাদেশে প্রথম শনাক্ত হয় করোনাভাইরাস। জনস্বাস্থ্যের কথা ভেবে বর্ণাঢ্য আয়োজন থেকে সরে আসে সরকার।
ফলে জাতির পিতার জন্মদিন ১৭ মার্চ রাত ৮টায় দেশের সব টেলিভিশন, অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় একযোগে সম্প্রচার করা হয় ‘মুক্তির মহানায়ক’ নামের একটি অনুষ্ঠান। এর পর থেকে মুজিববর্ষের সব আয়োজন ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে হচ্ছে।