ডেস্ক নিউজ
পারস্পরিক সুবিধা পাওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুত ও রফতানিকারক সমিতির (বিজিএমইএ) সভাপতি ফারুক হাসান। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জাপানের বাজারে তৈরি পোশাকের শেয়ার বাড়াতে চায়।
সোমবার (১০ জানুয়ারি) গুলশানের বিজিএমইএ-পিআর অফিসে বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকির সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিজিএমইএ’র সহ-সভাপতি শহিদউল্লাহ আজিম, মিরান আলী, পরিচালক আসিফ আশরাফ ও জাপান দূতাবাসের ফার্স্ট সেক্রেটারি হারুতা হিরোকি। এ সময় তারা বাণিজ্য সম্প্রসারণ ও দুই দেশের সম্পর্ক আরও গভীর করার সম্ভাব্য উপায় নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাকালে তারা বাণিজ্যের বাধাগুলো অপসারণে জোর দেন। ব্যবসার সুযোগ তৈরির জন্য বাংলাদেশ ও জাপানের ব্যবসায়ী, বিশেষ করে যারা ফ্যাশন শিল্পে জড়িত, তাদের মাঝে যোগাযোগ শুরুর বিষয়ে তারা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ফারুক হাসান বলেন, ‘বাংলাদেশ জাপানের বাজারে তৈরি পোশাকের শেয়ার বাড়াতে চায়।’ তিনি এক্ষেত্রে রাষ্ট্রদূতের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় বিনিয়োগের খাতগুলো, বিশেষ করে নন-কটন টেক্সটাইল খাতে জাপানের ব্যবসায়ীদের এগিয়ে আসার ব্যাপারে উৎসাহিত করতে রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান।
বিজিএমইএ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘বিশ্ববাজারে ক্রমবর্ধমান চাহিদার কারণে বাংলাদেশের পোশাকশিল্প সিনথেটিক ফাইবার দিয়ে পোশাক তৈরির দিকে মনোযোগ বাড়াচ্ছে।’
জাপানের রাষ্ট্রদূত রফতানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেডে) অবস্থিত তৈরি পোশাক কারখানাগুলোর জন্য নতুন বাজারে রফতানির বিপরীতে প্রণোদনা সুবিধা সম্প্রসারণের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন। তিনি বাংলাদেশে অধিক জাপানি বিনিয়োগ আকর্ষণে এ দেশে ব্যবসা পরিচালনা আরও সহজীকরণের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।