ডেস্ক নিউজ
আপাতত স্কুল-কলেজ বন্ধ না হলেও শিশু শিক্ষার্থীদের টিকার প্রদান কার্যক্রম জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানুয়ারির মধ্যে সব শিশু শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছে মন্ত্রণালয়। কিন্তু গত বছরের ১ নবেম্বর থেকে শুরু হওয়া শিশুদের টিকাদান কর্মসূচীতে এখন পর্যন্ত টিকার আওতায় এসেছে মাত্র ৫৫ লাখ শিক্ষার্থী। সোয়া কোটি শিক্ষার্থীর মধ্যে বাকি ৬০ লাখকে চলতি মাসের ১৯ দিনের মধ্যে টিকার আওতায় আনা সম্ভব কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মনে। রয়েছে টিকা বিতরণে জেলায় জেলায় বৈষম্যও। লালমনিরহাট, নরসিংদীর মতো বড় জেলাগুলোতে টিকার আওতায় এসেছে মাত্র ৪ শতাংশ শিক্ষার্থী। এমন অবস্থায় শিশুদের নিয়ে কোন ধরনের স্বাস্থ্যঝুঁকি না নেয়ার তাগিদ বিশেষজ্ঞদের। প্রয়োজনে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করার পরামর্শ তাদের। গত সোমবার শিক্ষামন্ত্রী ডাঃ দীপু মনি জানিয়েছেন, দেশে ১২ থেকে ১৮ বছর বয়সী মোট শিক্ষার্থী রয়েছে ১ কোটি ১৬ লাখ ২৩ হাজার ৩২২ জন। এর মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রথম ডোজ টিকা পেয়েছে ৪৪ লাখ শিক্ষার্থী। আর পূর্ণ দুই ডোজ টিকা পেয়েছে ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৫৪ শিক্ষার্থী। বাকি ৭৫ লাখ ৫৪ হাজার ৬০৬ শিক্ষার্থীর এখনও প্রথম ডোজ টিকা দেয়া বাকি আছে।
কিন্তু স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর এবং সরকারের টিকা কার্যক্রমের সমন্বয়কারী অধ্যাপক ডাঃ শামসুল হক দাবি করেছেন, মঙ্গলবার পর্যন্ত দেশজুড়ে অন্তত ১ ডোজ টিকার আওতায় এসেছে ৫৫ লাখ শিক্ষার্থী। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যেতে সরকার ঘোষিত সব শিশু শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার ঘোষণার পর থেকেই এ কার্যক্রম ত্বরান্বিত হয়েছে। নতুন উদ্যমে চলছে শিশু শিক্ষার্থীদের টিকাদান। এই ধারা অব্যাহত থাকলে অবশ্যই ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিক্ষার্থী টিকার আওতায় চলে আসবে।
তবে বাস্তব চিত্র ভিন্ন। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সরবরাহ ও সংরক্ষণ জটিলতায় দেশের বিভিন্ন জেলায় চাহিদা অনুযায়ী টিকা দেয়া সম্ভব হচ্ছে না। এসব কারণে অনেক জেলায় শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচী দেরিতে শুরু হয়েছে। টিকায় এ আঞ্চলিক বৈষম্য শিক্ষার্থীদের জন্য হুমকির কারণ হতে পারে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা। খোদ স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ক্ষেত্রে নরসিংদী ও লালমনিরহাটসহ বেশকিছু জেলা এখনও তলানিতে অবস্থান করছে। একই অবস্থা আরও কয়েকটি জেলারও। গত রবিবার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শিক্ষার্থীদের টিকাদান কর্মসূচীর হালনাগাদ তথ্যে দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি ৯২ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে বাগেরহাট জেলায়। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লক্ষ্মীপুর জেলায়, টিকা নিয়েছে ৮৬ শতাংশ শিক্ষার্থী। এর পরের অবস্থানে রয়েছে মাদারীপুর ৮২ শতাংশ, জামালপুর ৮১ শতাংশ। সবচেয়ে কম টিকা নিয়েছে নরসিংদী ও লালমনিরহাট জেলায় ৪ শতাংশ করে। ঠাকুরগাঁওয়ে টিকা নিয়েছে মাত্র ৫ শতাংশ শিক্ষার্থী। চুয়াডাঙ্গায় ৮ শতাংশ, চট্টগ্রামে ৯ শতাংশ শিক্ষার্থী টিকা নিয়েছে। ঢাকায় টিকা নিয়েছে ৭৩ শতাংশ শিক্ষার্থী। এসব জেলার সিভিল সার্জনরা টিকাদানে পিছিয়ে থাকার কারণ হিসেবে সাংবাদিকদের বলেছেন, প্রত্যেকেই দেরি করে টিকা পেয়েছেন। এছাড়া টিকা সংরক্ষণ ও সরবরাহে জটিলতাকেও দায়ী করেছেন কেউ কেউ।
শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম গতিশীল করতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, টিকা নিতে শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন জটিলতা আর থাকছে না। থাকছে না বাবা-মায়ের জন্মনিবন্ধন অনলাইনে থাকারও ঝামেলা। এবার শিক্ষার্থীরা টিকা নিতে কেন্দ্রে আসলে অবশ্যই লক্ষ্য পূরণ সম্ভব। প্রথম দফায় মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর (মাউশি) থেকে বলা হয়েছিল, ১৫ জানুয়ারির পর থেকে টিকা ছাড়া কোন শিক্ষার্থী স্কুলে যেতে পারবে না। কিন্তু শিক্ষামন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের পর নির্দেশনার বিষয়ে অধিদফতরের মহাপরিচালক সৈয়দ মোঃ গোলাম ফারুকের কাছে শিক্ষার্থীদের টিকাদান সম্পর্কিত পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, আমরা গত শনিবার নিবন্ধিত ও অনিবন্ধিত ১২-১৮ বছরের সব শিক্ষার্থীকে টিকা গ্রহণ নিশ্চিত করতে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে টিকা গ্রহণের একটা নির্দেশনা দিয়েছিলাম। কিন্তু এখন এই তারিখটি ধাপে ধাপে করা হবে। যেমন- ৩৯৭টি উপজেলা বা থানায় ১৫ জানুয়ারির মধ্যে, ৩ উপজেলায় ১৭ জানুয়ারির মধ্যে, ৫৬ উপজেলা বা থানায় ২০ জানুয়ারির মধ্যে, ১৫ উপজেলা বা থানায় ২২ জানুয়ারির মধ্যে, ৩৫ উপজেলা বা থানায় ২৫ জানুয়ারির মধ্যে এবং ১১ উপজেলা বা থানায় ৩১ জানুয়ারির মধ্যে শিক্ষার্থীদের অন্তত ১ ডোজ টিকা আওতায় আনা হবে বলে আশা করছি।
এত অল্প সময়ের মধ্যে এটি সম্ভব কিনা এ বিষয়ে তিনি বলেন, প্রথম দিকে শিশুদের টিকা গ্রহণের ক্ষেত্রে নিবন্ধনসহ কিছু জটিলতা ছিল। যা এখন থাকছে না। তার ওপর সরকারের পক্ষ থেকে সব ১২-১৮ বছরের সব শিক্ষার্থীকে টিকার আওতায় নিয়ে আসার বিষয়ে বিশেষ জোর দেয়া হচ্ছে। আশা করি এ মাসের মধ্যেই সবাইকে টিকার আওতায় নিয়ে আসা সম্ভব হবে। তিনি বলেন, বুধবার থেকে টিকা ছাড়া কোন শিক্ষার্থী ক্লাসে যেতে পারবে না। যাদের টিকা দেয়া হয়নি তারা আপাতত অনলাইনে বা টেলিভিশনে ক্লাস করবে। ১২ বছরের কম বয়সীদের ক্লাসও আপাতত চলবে। যেহেতু বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে শিশুদের টিকাদানের ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কোন নির্দেশনা নেই সেহেতু তাদের ক্লাস চালিয়ে যেতে সমস্যা নেই।
টিকাদানের প্রক্রিয়া সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যেসব শিক্ষার্থী এখনও টিকা পায়নি তাদের তালিকা আমাদের হাতে এসেছে। এই তালিকা টিকা নিবন্ধন সংশ্লিষ্ট দফতরেও পাঠানো হয়েছে। এখন নির্ধারিত দিনে শিক্ষার্থীরা পরিচয়পত্র দেখিয়ে সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রে গিয়ে টিকা নিতে পারবে।
টিকাদানে পিছিয়ে থাকা জেলাগুলোর বিষয়ে রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) উপদেষ্টা ডাঃ মুশতাক হোসেন বলেন, টিকাদানে বৈষম্য শুধু শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে যে তা নয়। আমরা যদি বৈশ্বিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখি তাহলেও এটি লক্ষ্য করা যায়। আর শিক্ষার্থীদের তো দেয়া হচ্ছে ফাইজারের টিকা। যা সংরক্ষণ একটু কঠিনই। এটি কম তাপমাত্রায় পরিবহন ও সংরক্ষণ করতে হয়। এক্ষেত্রে যেসব জেলা পিছিয়ে আছে তাদের নিশ্চয়ই সংরক্ষণ জটিলতা রয়েছে। এক্ষেত্রে সরকারকে আন্তরিক হতে হবে। এখানে উদাসীনতার সুযোগ নেই। সরকারের উদ্যোগেই পরিবহন এবং সংরক্ষণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা যতদূর জানি এখন পর্যন্ত ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানিগুলো থেকে গাড়ি ভাড়া করে এসব টিকা পরিবহন করা হচ্ছে। ফলে নানা ধরনের অসুবিধা হচ্ছে। তাই এ বৈষম্য তৈরি হচ্ছে বলে আমি মনে করি।
১৯ দিনে প্রায় ৬০ লাখ শিক্ষার্থীকে বড় কোন ক্যাম্পেন বা গণটিকা কর্মসূচী ছাড়া টিকার আওতায় নিয়ে আসা আসলেই বাস্তবিক কোন পরিকল্পনা কিনা জানতে চাইলে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত জাতীয় কারিগরি কমিটির সদস্য অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আর্সনাল জনকণ্ঠকে বলেন, যেহেতু শিশু শিক্ষার্থীদের টিকাদানের ক্ষেত্রে শুরুর দিকে নিবন্ধন সংক্রান্ত কিছু জটিলতা ছিল সেই কারণে হয়ত টিকার প্রদানের হারটা কম ছিল। কিন্তু এখন যেহেতু আর কোন কঠিন শর্ত থাকছে না আশা করি সংশ্লিষ্টদের সদিচ্ছায় এটি সম্ভব। তবে যেহেতু রাষ্ট্র করোনা সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে বিধিনিষেধ জারি করেছে। তাই আমি মনে প্রয়োজনে আবারও স্কুল-কলেজ বন্ধ বা সীমিতভাবে চালনা করা হোক।
এ ব্যাপারে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডাঃ লেনিন চৌধুরী জনকণ্ঠকে বলেন, আমরা প্রতিদিন ৭০ লাখের বেশি টিকাদানে সক্ষম। টিকারও ঘাটতি নেই। এক্ষেত্রে যারা ঘোষণা দিয়েছে ৩১ জানুয়ারির মধ্যে সব শিশু শিক্ষার্থীকে অন্তত ১ ডোজ টিকার আওতায় আনা হবে তারা চাইলে নিশ্চয়ই এটি সম্ভব। তবে বিধিনিষেধের ব্যাপারে আমি বলব এটিকে মাত্রাভিত্তিক করা হউক। কারণ এখন যেমন সংক্রমণের হার ৬ বা ৭ শতাংশের মধ্যে এখন যেমন বিধিনিষেধ দেয়া হয়েছে তেমনি যদি আরও বাড়ে নিশ্চয়ই এই বিধিনিষেধের মাত্রাও বাড়বে। যখন আরও বাড়বে সংক্রমণ তখন বিধিনিষেধও আরও বাড়বে। এর সর্বশেষ পরিণতি হবে লকডাউন। এই লকডাউন পর্যন্ত যাতে আমাদের যেতে না হয় সেদিকটা বিবেচনা করে প্রয়োজনে স্কুল-কলেজ বন্ধও করতে হবে। তবে তা এখনি করার সময় আসেনি বলে আমি মনে করি।
তবে সাম্প্রতিক বিধিনিষেধ এবং করোনার সংক্রমণের হারের উর্ধগতির কারণে উদ্বেগ বাড়ছে অভিভাবকদের মধ্যে। তাদের মধ্যে অনেকেই চাচ্ছেন না নিজের সন্তানদের স্কুলে পাঠাতে। এমনই একজন অভিভাবক রাজধানীর ইস্কাটনের বাসিন্দা এলি রহমান বলেন, বেঁচে থাকলে সন্তানরা পড়ালেখা-উৎসব-অনুষ্ঠান সব করতে পারবে। আমরা দেখছি টিকা নেয়ার পরও অনেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। এখন আবার নতুন নতুন ভ্যারিয়েন্ট আসছে। ওমিক্রনের যে অতিসংক্রামক ধরন তাতে ভয় তো হয়ই। তাই আমি মনে করি টিকা কার্যক্রম চললেও সংক্রমণের হার যদি আরও বাড়ে তাহলে বন্ধ করে দেয়া হোক স্কুল-কলেজ।
একই কথা বলেন রাজধানীর শান্তিনগর এলাকার বাসিন্দা তিন শিশু শিক্ষার্থীর অভিভাবক উজ্জ্বল বালো। জনকণ্ঠকে তিনি বলেন, গত প্রায় ২টা বছর ঘরবন্দী অবস্থায় আমাদের নাভিশ্বাস উঠে গিয়েছিল। সংক্রমণ কমায় স্কুল-কলেজসহ সব যখন স্বাভাবিক তখন আবারও বাড়ছে করোনার দৌরাত্ম্য। এমন অবস্থায় আমি চাই আমার সন্তানের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা। তাই সংক্রমণের হার যদি এভাবেই বাড়তে থাকে তাহলে সরকারের কাছে অনুরোধ থাকবে যেন স্কুলগুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
প্রসঙ্গত, করোনা সংক্রমণের কারণে ২০২০ সালের মার্চে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয়। টানা প্রায় দেড় বছর বন্ধের পর গত ১২ সেপ্টেম্বর থেকে সীমিত পরিসরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো খুলে দেয়া হয়। স্বল্প পরিসরে শুরু হয় ক্লাসও। এরই মধ্যে নেয়া হয় এসএসসি এবং এইচএসসির মতো দুটি বড় পাবলিক পরীক্ষাও। কিন্তু এখন আবার সংক্রমণ বাড়ায় উদ্বেগ বাড়ছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
গত ১৪ অক্টোবর মানিকগঞ্জের চারটি স্কুলে নবম ও দশম শ্রেণীর ১২০ শিক্ষার্থীকে ফাইজার-বায়োএনটেকের টিকা দিয়ে পরীক্ষামূলক এ কর্মসূচী শুরু হয়। গত ১ নবেম্বর রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুলের নবম শ্রেণীর দুই শিক্ষার্থীকে টিকা দেয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে ১২ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিক্ষার্থীদের টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। পরদিন আবার ঢাকার আটটি কেন্দ্রে একযোগে টিকাদান শুরু হয়। এগুলো হলো বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার হার্ডকো স্কুল, মালিবাগের সাউথ পয়েন্ট স্কুল, গুলশানের চিটাগাং গ্রামার স্কুল, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল ও কলেজ, মিরপুরের ঢাকা কমার্স কলেজ, ধানম-ির কাকলী স্কুল, উত্তরার সাউথ ব্রিজ স্কুল এবং মিরপুরের স্কলাস্টিকা স্কুল। এরপর ২৬ নবেম্বর থেকে শুরু হয় সারাদেশে স্কুল শিক্ষার্থীদের টিকা কার্যক্রম। প্রথম ধাপে ৪৭টি জেলা শহরে কেন্দ্র স্থাপন করে ১২ থেকে ১৭ বছরের শিক্ষার্থীদের টিকা দেয়া হয়। পর্যায়ক্রমে সারাদেশের স্কুলগুলোতে এ কার্যক্রম শুরু হয়।