ডেস্ক নিউজ
উত্তরের সীমান্তবর্তী জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে ব্যক্তি উদ্যোগে এবার চাষ হচ্ছে দুর্লভ প্রজাতির দামি আগর গাছ। সমতল জমিতেও যে আগর চাষ করা যায় সেটির প্রমাণ দিলেন সদর উপজেলার ইয়াকুবপুর গ্রামের শরিফ বিন রব্বানী নামে কৃষক। আগর চাষের পাশাপাশি জৈব পদ্ধতিতে আগর সংগ্রহ শুরু করেছেন তিনি।
জেলার কৃষি বিভাগ বলছেন কেউ আগর চাষে আগ্রহী হলে তাকে কারিগরি সহযোগিতা দেবেন তারা। জানা যায়, ২০১০ সালে সখের বশে সিলেট থেকে শতাধিক আগর চারা সংগ্রহ করে নিজ বাড়ির পাশে পরীক্ষামূলক আগর বাগান গড়ে তোলেন শরিফ বিনতে রব্বানী। বর্তমানে তার বাগানে প্রায় দুই শতাধিক আগর গাছ রয়েছে। আগর চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে আগর গাছের চারা উৎপাদনও করছেন তিনি।
শরিফ বিনতে রব্বানী বলেন, ‘অন্যান্য গাছের তুলনায় আগর গাছের বাগান করা সহজ এবং খরচও তুলনামূলক কম; পাশাপাশি লাভও অনেক বেশি। এক কেজি আগর আতরের দাম পাঁচ লাখ টাকার কাছাকাছি।’ এটি একটি সম্ভবনাময় ফসল। আগর গাছের নির্যাস থেকে মূল্যবান সুগন্ধি ও তেল পাওয়া যায়। যা থেকে আতর, আগরবাতি, বডি স্প্রে, সেন্টসহ বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধিপণ্য তৈরি করা হয়। আগর গাছের কাঠ ওষুধ কারখানার কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার হয় ব?লে জানান তিনি।
শরিফের আগর সংগ্রহের কাজে সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী রোজিনা আকতার। রোজিনা আকতার বলেন, আগর ব্যবসায়ীরা যদি ন্যায্যমূল্যে আগর ক্রয় করেন এবং সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে আগর শিল্পের মাধ্যমে রাজস্ব বৃদ্ধি পাবে সরকার। পাশাপাশি দেশের সুষম অর্থনৈতিক উন্নয়নের সহায়ক হবে।
ঠাকুরগাঁও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আবু হোসেন বলেন, আগর একটি দুর্লভ ও সুগন্ধি প্রজাতির একটি গাছ। আমরা কৃষি অফিসের মাধ্যমে শরিফ বিনতে রব্বানীর এমন উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে আগর আতরের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। ফলে সম্ভাবনাময় আগর চাষ করে বদলে যেতে পারে এ জেলার মানুষের ভাগ্য।