নিজস্ব প্রতিবেদক:
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর সড়ক ও সেতু মন্ত্রী এবং তথ্য মন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে যে তথ্য দিয়েছেন তাতে মনে হয় তাকে জ্বীনে ধরেছে। আগে জ্বীন ছাড়ানোর ব্যাবস্থা করতে হবে। এছাড়াও মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর সার্চ কমিটি নিয়ে বলেছেন এ কমিটিতে যারা আছেন তারা সকলেই আওয়ামীলীগ। উনি কিভাবে আবিস্কার করলেন যে সকলেই আওয়ামীলীগ। তিনি আজ রবিবার নাটোর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে এসব কথা বলেন। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান। সম্মেলনে ভার্চুয়ালী বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন,রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন,রাজশাহী সিটি মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন,তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক,সস্মেলনের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস এমপি,সাধারন সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এমপি। অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় দলীয় পতাকা উত্তোলন করে ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন।
সম্মেলনে রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেন, দীর্ঘ ৭ বছর পরে জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন হচ্ছে। এই সম্মেলনের পূর্ব মুহুর্তে যারা শ্লোগান দেওয়া নিয়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি করেছেন তাদের প্রত্যেকের তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে আছে। বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী ছাড়া কারো নামে শ্লোগান না দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে তিনি বলেন, যার নামে শ্লোগান দেবেন তার উপর থেকে প্রধানমন্ত্রীর আশীর্বাদ চলে যাবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী নূতন কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করে দেওয়া হবে।
এর আগে সম্মেলনে ভার্চুয়ালী যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন,যারা অপরাধ করছেন এবং দলের শৃংখলা নষ্ট করে বিশৃংখলা তৈরী করছেন তাদের প্রত্যেকের নামের তালিকা প্রধান মন্ত্রীর কাছে রয়েছে। তারা কোন ভাবেই দলে স্থান পাবেন না। কোন চাঁদাবাজ,ভুমি দস্যু,দূর্ণিতীবাজদের আওয়ামী লীগে প্রয়োজন নাই। যারা দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন তারাই দলের জন্য থাকবেন। কোন সুবিধাবাদী দলে স্থান পাবেন না। প্রধান মন্ত্রীর দুরদর্শিতায় আজ আওয়ামী লীগ সাধারণ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে।