নিউজ ডেস্কঃ
বিএনপির সহযোগী সংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের শীর্ষ দুই পদে ৭৫ জন মনোনয়নপত্র জমা দিলেও যাচাই-বাছাই কমিটি সেখান থেকে ৪৫ জনকে বৈধ প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি খসড়া তালিকাও প্রকাশ করেছে বিএনপি।
মঙ্গলবার বিকেলে লন্ডনে অবস্থিত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে বৈঠক করে এ খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হয় বলে দলটির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে। ছাত্রদলের ষষ্ঠ কাউন্সিলের যাচাই-বাছাই কমিটির আহ্বায়ক বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন স্বাক্ষরিত বৈধপ্রার্থী তালিকায় সভাপতি পদে ১৫ জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ৩০ জন রয়েছেন।
সাংগঠনিক সূত্রে জানা গেছে, যে ৪৫ জন নেতার নাম সম্বলিত বৈধ প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাদের মধ্যে অন্তত ১৭ জন বিবাহিত। যাদের মধ্যে ৫ জনের বাচ্চাও রয়েছে। কিন্তু নানা কৌশল করে বিবাহিত থাকার বিষয়টি গোপন করে তালিকায় নাম রেখেছেন তারা। আর এতে কাজ করেছেন নেতাদের একটি বৃহৎ অংশ। যার নেতৃত্বে আছেন রুহুল কবির রিজভী।
এ বিষয়ে কেবল লবিং দুর্বলতায় তালিকা থেকে বাদ পড়া নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন ছাত্রদল নেতা বলেন, সভাপতি পদে বৈধ প্রার্থী যারা- তাদের মধ্যে আব্দুল মাজেদ, এরশাদ খান, সুরুজ মণ্ডল, ইলিয়াছ, হাফিজুর, আলাউদ্দিন, আবুল বাশারসহ অনেকেই বিবাহিত। এদের মধ্যে অনেকের বাচ্চাও আছে। এতদিন ধরে একসঙ্গে রাজনীতি করে আসছি ফলে আমরা একে অপরের বিষয়গুলো জানি। কিন্তু কেবল সিন্ডিকেটের পছন্দের তালিকায় থাকায় তারা বৈধতা পেলো।
তিনি আরও বলেন, এই তালিকায় একটি গেম খেলা হয়েছে। যার ফল বিএনপি তিলে তিলে পাবে। আমরাও এমন অবৈধ ঘোষণাকে মেনে নেব না। আমরা এর প্রতিবাদ করবো এবং এই অপরাজনীতির জবাব দেব।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। ভোটে অংশ নেবেন সংগঠনটির সারাদেশের ১১৭টি ইউনিটের ৫৮০ জন কাউন্সিলর। তবে বৈধ তালিকা নিয়ে ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচন সফল হবে কিনা বলা যাচ্ছে না।