নিউজ ডেস্কঃ
তথ্য গোপন করে রাজধানীর পূর্বাচলে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ চেয়ে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছিলেন সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা। যদিও পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে পড়ে আবেদন প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
এদিকে, রুমিন ফারহানার প্লটের আবেদন ও প্রত্যাখ্যান বিষয়টি নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে দলের অভ্যন্তরে। প্লটের সুবিধা চেয়ে সরকারকে বৈধতা দেয়ার প্রচেষ্টা এমনকি বেগম জিয়ার মুক্তি বাদ দিয়ে ব্যক্তি স্বার্থে জড়িত থাকার কারণে সমালোচনার শিকার হয়েছেন রুমিন ফারহানা।
এই বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, রুমিন ফারহানা সরকারি সুবিধা চেয়ে যে আবেদন করেছেন তা নিঃসন্দেহে নিন্দনীয়। প্লটের সুবিধা চেয়ে তিনি সরকারকে বৈধতা দেয়ার চেষ্টা করেছেন। দুঃখ লাগে, বেগম জিয়াকে জেলে রেখে কিভাবে সুবিধার বিষয়ে চিন্তা করেন? দল ও নেত্রীর প্রতি নূন্যতম দায়বদ্ধতা থাকলে রুমিন এই কাজটি করতে পারতেন না।
তিনি আরো বলেন, তবে শুনলাম ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা প্লটের আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিষয়টি কিছুটা স্বস্তি দিলেও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষত হয়ে থাকবে বিএনপির রাজনীতিতে। লোভ সংবরণ করা শিখতে হবে বিএনপি নেতাদের।
বিষয়টিকে ভিন্নভাবে ব্যাখ্যা করে দলটির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, রুমিন ফারহানার প্লট আবেদন প্রত্যাহারের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো- প্লট চেয়ে তিনি যে আবেদন করেছিলেন তা অনৈতিক ছিল। তবে তিনি যে ভুল স্বীকার করেছেন, সেটির জন্য তাকে ধন্যবাদ জানাই। আশা করি ভবিষ্যতে নেতাকর্মীদের সেন্টিমেন্টের বিরুদ্ধে কখনও তিনি যাবেন না। আরও ভালো হতো যদি তিনি এখন নেতাকর্মীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন। আশাকরি রুমিন ফারহানার ভুল থেকে বিএনপির নেতারা শিক্ষা নিবেন এবং নিজেদের শুধরানোর চেষ্টা করবেন।