নিজস্ব প্রতিবেদক:
দেশের সব ভোজ্যতেল রিফাইনারি কোম্পানির কাছে ভোজ্যতেল আমদানির বিভিন্ন তথ্য চেয়েছে সরকার। ভোজ্যতেল পরিশোধনকারী কোম্পানিগুলো গত তিন মাসে কী পরিমাণ তেল আমদানি করেছে- কত পরিমাণ তেল পরিশোধন করা হয়েছে, কি পরিমাণ তেল মজুত আছে কাস্টমস পেপারসহ এ সবের তথ্য চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। একইসঙ্গে কোম্পানিগুলো কত পরিমাণ তেলের ডিও বা এসও দিয়েছে, কত পরিমাণের তেল সরবরাহ (ডেলিভারি) করা হয়েছে এবং এ পর্যন্ত কতটা মজুত আছে, সরকারের পক্ষ থেকে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি জানিয়েছেন, কোম্পানিগুলোকে আগামী ৭ মার্চ রবিবারের মধ্যে এসব তথ্য সম্বলিত কাগজপত্র বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট দফতরে জমা দেওয়ারও অনুরোধ জানানো হয়েছে।
তিনি জানান, অভিযোগ রয়েছে আন্তর্জাতিক বাজারের দোহাই দিয়ে হঠাৎ করেই বাজারে সয়াবিন তেলের সরবরাহ কমিয়ে দিয়েছে রিফাইনারি কোম্পানিগুলো। এতে বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি হয়েছে। এমন পরিস্থিতি তেলের দাম প্রতিনিয়ত বাড়ছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সব রিফাইনারি প্রতিষ্ঠানের কাছে এ ভোজ্যতেলের আমদানি ও রিফাইনের পরিমাণ জানতে চেয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ সংস্থা ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর।
আগামী সোমবার (৭ মার্চ) পর্যন্ত কোম্পানিগুলোকে সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে। তথ্য পাওয়ার পর প্রতিটি রিফাইনারিতে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর অভিযান চালাবে। তেল নিয়ে তেলেসমাতি কারা করছে, তা ধরা পড়বে।