ডেস্ক নিউজ
ভোজ্যতেল নিয়ে কারসাজি ঠেকাতে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই এবং মিল মালিকদের চিঠি দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।
সরকারি উদ্যোগে দোকানিরা তেলের দাম কমাতে বাধ্য হলেও নতুন করে ভোজ্যতেল বিক্রির সঙ্গে অন্যপণ্য জুড়ে দেওয়া শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।
এফবিসিসিআইয়ের কাছে পাঠানো ভোক্তা অধিকারের চিঠিতে সতর্ক করে বলা হয়, ব্যবসায়ীরা নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভোজ্যতেলের সঙ্গে অন্যকোনো পণ্য ক্রয় করতে হবে- এমন শর্ত আরোপ করে ক্রেতাকে বাধ্য করছেন। এতে ভোক্তা অধিকারের মারাত্মকভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান স্বাক্ষরিত আরেকটি চিঠিতে সংশ্লিষ্ট দোকানের নাম-ঠিকানা উল্লেখসহ মুদ্রিত রসিদ বা পাকা রশিদে পণ্যমূল্য ও পরিমাণ উল্লেখ করে বেচাকেনা করার জন্য মুদি দোকানগুলোকে নির্দেশ দেওয়া হয়।
এতোদিন পর্যন্ত তেলের মিল থেকে এসও বা সাপ্লাই অর্ডারে পণ্যের পরিমাণ উল্লেখ থাকলেও দাম উল্লেখ থাকতো না। মিল মালিকদের উদ্দেশে পাঠানো পৃথক এক চিঠিতে সেখানে পণ্যের পরিমাণ ও টাকার অংক উল্লেখ করতে বলা হয়।
এদিকে শনিবারও পুরান ঢাকার পেঁয়াজের আড়তে অভিযানে গেছে ভোক্তা অধিকারের একটি দল। সেখানে বিভিন্ন অনিয়মের দায়ে পাঁচটি প্রতিষ্ঠানকে মোট ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
বিশ্ব বাজারে ভোজ্যতেলের মূল্য বেড়ে যাওয়াকে ‘সুযোগ’ হিসেবে নিয়ে সম্প্রতি দেশের বাজারে প্রতিটি স্তরেই দাম বাড়ান ‘অতি উৎসাহী’ ব্যবসায়ীরা। সয়াবিন তেল নিয়ে ব্যবসায়ীদের এমন কার্যক্রমকে ‘তেলেসমাতি’ হিসেবে দেখছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।