ডেস্ক নিউজ
দুই দিনের সফরে আজ ঢাকা আসছেন সৌদি আরবের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ। প্রায় ছয় বছর পর তার এ সফরে রাজনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক জোরদারের বার্তা দেবে সৌদি আরব। সৌদি আরবের পক্ষ থেকে আসতে পারে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব। এ সফরে দুই দেশের মধ্যে অন্তত তিনটি সমঝোতা চুক্তি সই হতে পারে। সফরসূচি অনুসারে, আজ সন্ধ্যায় এসে আগামীকাল বিকালে ঢাকা ত্যাগ করবেন। সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। বুধবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে হবে আনুষ্ঠানিক রাজনৈতিক সংলাপ।
ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ জানান, ২০১৬ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সৌদি আরব সফরকালে সৌদি বিনিয়োগকারীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগ করার আহ্বান জানিয়েছিলেন। তাঁর আহ্বানে সাড়া দিয়ে এবং সৌদি বাদশাহ সালমানের নির্দেশনা ও যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সম্পৃক্ততায় সৌদি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে ৬০০ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি বিনিয়োগের পরিকল্পনা করছেন। সৌদি বিনিয়োগকারীরা এ দেশে তেল শোধনাগার, পেট্রোকেমিক্যাল কমপ্লেক্স, এলএনজি টার্মিনাল, বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খাদ্য ও ওষুধ শিল্প, সড়ক ও রেলপথ নির্মাণ, পোতাশ্রয় নির্মাণ, সামরিক ও বেসামরিক এয়ারক্রাফট রক্ষণাবেক্ষণ, যন্ত্রাংশ নির্মাণ, সার ও সৌর বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ করতে চায়। সৌদি আরব এ দেশে একটি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার সম্ভাব্যতা যাচাই করছে। এ ছাড়া কক্সবাজারকে আন্তর্জাতিক পর্যটকদের গন্তব্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাসহ পায়রা বন্দরের সঙ্গে ঢাকার রেল সংযোগ স্থাপনে বিনিয়োগের সম্ভাবনার বিষয়টি সৌদি আরব বিবেচনা করছে। সৌদি প্রতিষ্ঠান আকওয়া পাওয়ার এরই মধ্যে ৭০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে ৬০ কোটি ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে ৩৫০ কোটি ডলার বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে। সৌদি রেড সি গেটওয়ে টার্মিনাল বাংলাদেশে ১২০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে চায়। এ ছাড়া ইঞ্জিনিয়ারিং ডাইমেনশন নামের একটি সৌদি প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশে ১৮০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে বলে এরই মধ্যে নিশ্চিত করেছে। রাষ্ট্রদূত জানান, সৌদি আরবের গৃহকর্তাদের পক্ষ থেকে দক্ষ জনশক্তি নিতে আগ্রহ প্রকাশ করা হয়েছে। এ ছাড়া সৌদি আরব এখন হালকা সামরিক সরঞ্জামাদি তৈরি করে। এ বিষয়েও বাংলাদেশকে প্রস্তাব দেওয়া হবে।