ডেস্ক নিউজ
রাজধানীতে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল সম্প্রসারণে জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগী সংস্থা (জাইকা) আরও ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ দিচ্ছে।
বর্তমান বিনিময় হার অনুযায়ী (১ ডলারে ৮৬ টাকা) এর পরিমাণ প্রায় ১ হাজার ৩৫৮ কোটি টাকা।
মঙ্গলবার এ বিষয়ে জাইকার সঙ্গে ঋণ চুক্তি করেছে সরকার। রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও জাইকার ইউহো হায়াকাওয়া সই করেন।
এসময় মেট্রোরেল প্রকল্পের বাস্তবায়কারী সংস্থা ঢাকা ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লি. (ডিএমটিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক ও ইআরডির যুগ্ন সচিব মো. আশরাফ আলী ফারুক উপস্থিত ছিলেন।
রাজধানী ঢাকায় চালু হতে যাওয়া মেট্রোরেল লাইন ৬ প্রকল্পের আওতায় উত্তরা থেকে আগারগাঁও হয়ে প্রথম রেল যাওয়ার কথা ছিল মতিঝিল পর্যন্ত। পরে তা কমলাপুর পর্যন্ত সম্প্রসারণের পদক্ষেপ নেয় সরকার।
এর অংশ হিসেবে মতিঝিল ছাড়িয়ে মেট্রোরেলের রুট কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার লাইন বাড়িয়ে প্রকল্পটির সংশোধনের জন্য পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। সেখানে প্রকল্পটিতে নতুন করে ১১ হাজার ৪৮৬ কোটি টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগের উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পের অনুমোদিত ব্যয় ছিল ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি টাকা। এর মধ্যে ১৬ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকাই যোগান দিচ্ছে জাইকা।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ৪২তম ঋণ প্যাকেজের দ্বিতীয় অংশ হিসেবে এ ঋণ দেওয়া হবে। এর আগে গত বছরের ২২ নভেম্বর ওই ঋণ প্যাকেজের আওতায় ২৬৬ কোটি ৫০ লাখ ডলারের ঋণ চুক্তি সই হয়েছে।
নতুন ঋণ মাত্র ০.৭ শতাংশ সুদ এবং ০.২ পরামর্শক ফিসহ ১০ বছরের রেয়াতকালসহ ৩০ বছরে পরিশোধ করতে হবে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে এ ঋণ চুক্তিসহ ‘ফিশারিজ লাইভলিহুড এনহেন্সমেন্ট প্রজেক্ট ইন দ্য কোস্টাল এরিয়া অব দ্য বে অব বেঙ্গল’ এবং স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে চলমান ‘ডি পি এইচ ই’ প্রকল্পের কারগরি সহায়তার জন্য একটি নোট বিনিময় চুক্তি হয়। এতে ইআরডি সচিব ফাতিমা ইয়াসমিন ও ঢাকায় জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি সই করেন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, উত্তরা থেকে মতিঝিল হয়ে কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল নির্মাণ প্রকল্পটির জন্য এর আগে জাইকা চার পর্বে এই প্রকল্পের জন্য জাইকা প্রায় ১৯৪ কোটি ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে। এবার ৫ম পর্বে নতুন করে আরও ১৫ কোটি ৮০ লাখ ডলার ঋণ দেওয়া হচ্ছে।
এতে আরও জানানো হয়, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অধীনে চলমান “ম্যাস র্যাপিড ট্রানজিট লাইন-৬” প্রকল্পটি এ পর্যন্ত মোট অগ্রগতি হয়েছে ৭৬ শতাংশ। আর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের অগ্রগতি হয়েছে ৯০ শতাংশ।