ডেস্ক নিউজ
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ছয়টি বন্ধ কূপের পাঁচটি বুধবারের মধ্যে চালু হয়েছে। বাকি একটি কূপ চালু করতে দেরি হবে। চলমান গ্যাস সংকট সমাধানে বিদেশ থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) আমদানি বাড়িয়েছে সরকার। এলএনজি ভর্তি একটি জাহাজ বৃহস্পতিবার চট্টগ্রামে এসে পৌঁছাবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি বিভাগ বুধবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে আকস্মিক সমস্যা দেখা দেওয়ায় প্রথম রমজান থেকে দেশের কিছু জায়গায় গ্যাসের স্বল্প চাপের সৃষ্টি হয়। অভিজ্ঞ প্রকৌশলীদের নিরলস পরিশ্রমে সংকট কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে। বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড থেকে বর্তমানে ১১০ কোটি ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আরো সাত কোটি ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যোগ হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংকট সমাধানে সরকার দ্রুত সময়ের মধ্যেই এলএনজি কার্গোর ব্যবস্থা করেছে। ২৯৫ কোটি ঘনফুট এলএনজি ভর্তি একটি জাহাজ বৃহস্পতিবার সকালের মধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছাবে।
সংকটকালীন সময়ে ধৈর্য ধারণ করায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় দেশের মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে।
গত রবিবার থেকে রাজধানীসহ বিভিন্ন স্থানে তীব্র গ্যাস সংকট দেখা যায়। গ্যাসের অভাবে বাসাবাড়ির চুলা বন্ধ থাকে।
জানা যায়, বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের রক্ষণাবেক্ষণ শুরু করেছে মার্কিন বহুজাতিক কোম্পানি শেভরন। সেখানকার ছয়টি কূপে রক্ষণাবেক্ষণ শুরু হলে গত রবিবার দুপুরের দিকে হঠাৎ প্রায় ৪৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হয়ে যায়। এতে গ্যাসের সরবরাহে বড় ধরনের সংকট দেখা দেয়। ছয়টি কূপ বন্ধ হয়ে এ সংকট শুরু হয়।
তবে পাঁচটি কূপই ইতিমধ্যে চালু করা গেছে বলে গ্যাসক্ষেত্রের দায়িত্বে থাকা শেভরন জানিয়েছে।
দেশে দৈনিক গ্যাসের চাহিদা রয়েছে ৩৭০ কোটি ঘনফুট গ্যাস। আমদানি করা ১০০ কোটি ঘনফুট ও দেশীয় ১৮০ কোটি ঘনফুটসহ দেশে গড় সরবরাহ গ্যাসের পরিমাণ দৈনিক ২৮০ কোটি ঘনফুট।
এর মধ্যে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র থেকে সরবরাহ করা হয় ১১০ কোটি ঘনফুট; সেই গ্যাসের মধ্যে ৪৫ কোটি ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ কমে যায়। আর এতে গ্যাস সংকট দেখা দিয়েছে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে।