ডেস্ক নিউজ
বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রে শেভরন পরিচালিত যে ছয়টি গ্যাস কূপ বন্ধ রাখা হয়েছিল, তার মধ্যে পাঁচটি এখন চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পেট্রোবাংলা। ফলে এখন এক হাজার ১৫০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন হচ্ছে। তারপরও যে সংকট রয়েছে, তা এলএনজির মাধ্যমে সমাধান করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ।
বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) পেট্রোবাংলার শেভরন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা আবু সাকলায়েন জাগো নিউজকে বলেন, ‘বন্ধ হয়ে যাওয়া ছয়টি কূপের মধ্যে সর্বশেষ বুধবার রাতে ৫ নম্বর কূপ সচল হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কূপটিতে পুরোপুরি উত্তোলন শুরু হয়েছে। বর্তমানে বিবিয়ানায় গ্যাস উত্তোলনের পরিমাণ এক হাজার ১৫০ ঘনফুট।’
তবে এখনো বন্ধ থাকা কূপটি কবে নাগাদ সচল হতে পারে, তা বলতে পারেননি তিনি।
জানতে চাইলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ জাগো নিউজকে বলেন, ‘বিবিয়ানার অবস্থা এখন ভালো। তবে গ্যাস সংকট আছে। কিছু সমস্যা আছে, সেটা ঠিক হতে সময় লাগবে, এলএনজি আসছে। যতটুকু সংকট আছে, আমরা তা এলএনজি দিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি।’
পেট্রোবাংলার তথ্যমতে, দেশে নিয়মিত গ্যাসের চাহিদার ৪০ শতাংশ হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ গ্যাস খনি থেকে উত্তোলন করে শেভরন পরিচালিত বিবিয়ানা গ্যাস ফিল্ড। প্রতিদিন এ ফিল্ড থেকে উত্তোলন হয় এক হাজার ২৭৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস।
গত ৩ এপ্রিল সকালে হঠাৎ বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্রের ছয়টি কূপ থেকে গ্যাসের সঙ্গে বালু উঠতে শুরু করে। এজন্য জরুরিভিত্তিতে দুটি প্রসেস ট্রেন ও ছয়টি কূপের উৎপাদন বন্ধ করে দেওয়া হয়। ওই ছয়টি কূপ থেকে ৪২০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা হতো। হঠাৎ গ্যাস উৎপাদন বন্ধ হওয়ায় ৩ এপ্রিল দুপুরের পর থেকে ধীরে ধীরে গ্যাসের সরবরাহ কমতে থাকে।