ডেস্ক নিউজ
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়িতে আরও একটি প্রত্নবস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে। হাজার বছরের প্রাচীন নাটেশ্বর বৌদ্ধ নগরীতে পাওয়া এটা পঞ্চম নিদর্শন। এটা দেখতে অষ্ট-কোণাকৃতির। সন্ধান পাওয়া এই নিদর্শন দেশের প্রত্নতাত্ত্বিক ইতিহাসে বিরল।
এটি প্রাচীন সভ্যতার ইতিহাস ও দেশের প্রত্নক্ষেত্রকে আরও সমৃদ্ধ করার পাশাপাশি গবেষণা ও পর্যটনের ক্ষেত্রে নতুন দ্বার উন্মোচিত করবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
হাজার বছরের প্রাচীন বৌদ্ধ এই নগরীতে প্রায় ১০ বছর ধরে খনন কাজ চলছে। এর আগে এখানে চারটি অষ্ট-কোণাকৃতির প্রত্নবস্তুর সন্ধান পাওয়া গেছে।
প্রথম ৩ মাস নাটেশ্বর দেউল খননের সময় ৪-৫ মিটার পর্যন্ত উল্লেখযোগ্য কোনো প্রত্নবস্তুর সন্ধান পাওয়া যায়নি। পরে আরও গভীরে প্রাচীন ইটের দেয়ালের অংশ বিশেষ পাওয়া যায়। এর পরে সীমানা প্রাচীর, স্তূপ হলঘর/মণ্ডপ ও ইটের দেয়ালের সন্ধান পাওয়া যায়।শনিবার দুপুরে সন্ধান পাওয়া প্রত্নস্থাপনাটি সরেজমিনে পরিদর্শন করেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ গবেষণা ও খনন কাজে জড়িতরা। পরে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলন ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আবুল মনসুর। বিক্রমপুর অঞ্চলে পত্নতাত্ত্বিক খনন ও গবেষণা প্রকল্প পরিচালক এবং বিক্রমপুর অঞ্চলে অগ্রসর বিক্রমপুর ফাউন্ডেশনের সভাপতি ড. নূহ-উল-আলম লেনিনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের মহাপরিচালক রতন চন্দ্র পণ্ডিত, টঙ্গীবাড়ি উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জগলুল হালদার ভুতু, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুমানা তানজিন অন্তরা, প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরের আঞ্চলিক পরিচালক রাখী রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কবির হালদার প্রমুখ। সঞ্চালনা করেন প্রকল্পের গবেষণা পরিচালক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক সুফি মোস্তাফিজুর রহমান।