ডেস্ক নিউজ
ইন্দোনেশিয়া রফতানি বন্ধ করার পর এবার বিকল্প উৎস থেকে সব ধরনের ভোজ্যতেল আমদানির উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। ঈদের পর পামঅয়েল ও সয়াবিন তেল আনা হবে মালয়েশিয়া, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে। এ লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছে সরকার। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস কিংবা বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাণিজ্যিক উইং থেকে ভোজ্যতেল আমদানির ব্যাপারে খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। ঈদের পর ভোজ্যতেল আসবে আরও পাঁচ দেশ থেকে। এ কারণে ভোজ্যতেল নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান জনকণ্ঠকে বলেন, আগামী দুই মাস পর্যন্ত চাহিদা মেটানোর তেল দেশে মজুদ রয়েছে। এছাড়া রোজার পর দেশে ভোজ্যতেলের চাহিদা কমে যাবে। এরই মধ্যে বিকল্প উৎস নতুন দেশ থেকে ভোজ্যতেল আমদানির প্রক্রিয়া শুরু করা হবে। তিনি জানান, ইন্দোনেশিয়া রফতানি বন্ধ করার পর এবার বিকল্প বাজারে যেতেই হচ্ছে। এক দেশের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে অন্যান্য দেশ থেকেও যাতে বিভিন্ন ধরনের ভোজ্যতেল আনা যায় সেই উদ্যোগ গ্রহণ করবে সরকার। ভ্যাট কমানোর সুবিধা পুরোপুরি কার্যকর হলে ভোজ্যতেলের দাম বাড়বে না।
জানা গেছে, চাহিদা মেটাতে এক সময় রান্না ও শিল্প উৎপাদনে ব্যবহৃত দেশের বাজারের বেশিরভাগ পামতেল আমদানি করা হতো মালয়েশিয়া থেকে। তবে দামের পার্থক্যের কারণে দেশের পামতেলের বাজার এখন প্রায় পুরোটাই চলে গেছে ইন্দোনেশিয়ার হাতে। পামতেলের ৯০ শতাংশের বেশি আসছে দেশটি থেকে। অন্যদিকে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন তেল উৎপাদিত হয় চীন, যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রাজিলে। এর মধ্যে ২০১৯ সালে চীন ১ কোটি ৮০ লাখ টন ও যুক্তরাষ্ট্র ৮০ লাখ টন সয়াবিন তেল উৎপাদন করে, যা বিশ্বের মোট উৎপাদনের প্রায় ৪৫ শতাংশ। এছাড়া সয়াবিন উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান ১৭তম। তবে বাংলাদেশের সয়াবিন বীজ দিয়ে ভোজ্যতেল করা হয় না। মাছের খাবার, পোল্ট্রিফিডসহ অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়। এর পাশাপাশি দেশে ভোজ্যতেল হিসেবে সরিষা, সূর্যমুখী এবং রাইন ব্রান তেল ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে এসব তেলের দাম বেশি হওয়ার কারণে ভোক্তা আকর্ষণ নেই বললেই চলে। অভিজাত ও ধনাঢ্য শ্রেণীর ভোক্তারা রান্নায় সূর্যমুখী ও রাইস ব্রান তেল ব্যবহার করেন। তবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর বাজারে সূর্যমুখী তেলের সরবরাহ কমে গেছে। কারণ এই তেল উৎপাদন হয় শুধুমাত্র রাশিয়া এবং ইউক্রেনে। চলমান যুদ্ধের কারণে সূর্যমুখী তেলের আমদানি বন্ধ হয়ে গেছে।
জানা গেছে, ইন্দোনেশিয়ার বিকল্প উৎস হিসেবে মালয়েশিয়া ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে পামঅয়েল ও সয়াবিন তেল আমদানি করার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মালয়েশিয়া থেকে আমদানি আরও বাড়ানো হবে। অন্যদিকে নতুন করে চীন, আর্জেন্টিনা ও যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভোজ্যতেল আমদানি করা যায় কিনা সে বিষয়ে খোঁজখবর নেয়া শুরু হয়েছে। যদিও ব্রাজিল থেকে কিছু সয়াবিন তেল আমদানি করা হচ্ছে। তবে দাম বেশি পড়ায় ইন্দোনেশিয়া থেকেই সিংহভাগ ভোজ্যতেল আমদানি করা হচ্ছিল। এবার বিকল্প উৎস থেকে তেল আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভোজ্যতেল আমদানি ও আন্তর্জাতিক বাজারের দিকে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। গত ফেব্রুয়ারি মাস থেকে ইন্দোনেশিয়া তেল রফতানি কমানোর ঘোষণা দেয়ার পর থেকে বিকল্প বাজারের চিন্তা মাথায় রেখে কাজ করা হচ্ছে। এবার যেহেতু আনুষ্ঠানিক ঘোষণা এসেছে সেহেতু বিকল্প বাজারে যাবে সরকার। এক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত দ্রুত সময় এবং কম খরচে যেখান থেকে ভোজ্যতেল পাওয়া যাবে সেখান থেকে আমদানি করা হবে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ হাইকমিশন মালয়েশিয়ার বাণিজ্যক উইংয়ের কাউন্সেলর মোঃ রাজিবুল আহসান বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে একটি চিঠি দিয়ে ভোজ্যতেলের ব্যাপারে দেশটির (মালয়েশিয়া) অবস্থান তুলে ধরেছেন। বাণিজ্য সচিব বরাবর লিখিত ওই চিঠিতে বলা হয়-মালয়েশিয়া পামঅয়েল সেক্টর সংশ্লিষ্টদের মতে, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ আন্তর্জাতিক বাজারে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ার অন্যতম কারণ। সয়াবিন ও পামওয়েলের পরই বিশ্বে সবচেয়ে বেশি ব্যবহার হচ্ছে সানফ্লাওয়ার ওয়েল। ইউক্রেন বিশ্বে প্রথম সানফ্লাওয়ার তেল উৎপাদনকারী দেশ এবং এরপরই রাশিয়ার অবস্থান। কিন্তু দুই দেশের চলমান যুদ্ধের কারণে বিশ্বে সানফ্লাওয়ার তেলের সরবরাহ কমে গেছে এবং এর একটি প্রভাব পড়েছে পামঅয়েল ও সয়াবিনের ওপর। এছাড়া নিজ ভোক্তাদের সুরক্ষা দিতে ইন্দোনেশিয়া পামঅয়েল রফতানি নিরৎসাহিত করে আসছে। অন্যদিকে মালয়েশিয়ার পামঅয়েল সেক্টর করোনার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। শ্রমিক সঙ্কট এবং সারের মূল্য বৃদ্ধির কারণে মালয়েশিয়ার পামঅয়েল উৎপাদন কমে গেছে। এক পর্যালোচনায় দেখা গেছে, মালয়েশিয়ায় গত তিনমাসে জানুয়ারি-মার্চ ২০২২ সালে গড়ে পামঅয়েল উৎপাদন হয়েছে ১ দশমিক ২৬ মিলিয়ন টন, সেখানে অক্টোবর- ডিসেম্বর ২০২১ মাসিক গড় উৎপাদন ছিল ১ দশমিত ৬০ মিলিয়ন টন। মালয়েশিয়ান পামওয়েল কাউন্সিল (এমপিওসি) এর তথ্যমতে, মালয়েশিয়াতে মার্চ-২২ পর্যন্ত পামঅয়েলের মজুদ ছিল ১.৪৭ মিলিয়ন টন। মার্চ ২০২১ পর্যন্ত পামঅয়েলের মজুদ ছিল ১.৪৪ মিলিয়ন টন। অন্যদিকে ২০২২ সালের জানুয়ারি-মার্চ সময়ে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে রেকর্ড পরিমাণ ৮৮ হাজার ১৮৫ টন পামঅয়েল আমদানি করে। ২০২১ সালের একই সময়ে আমদানি ছিল ৪৫ হাজার ৪৪৬ টন এবং একই বছরের জানুয়ারি-ডিসেম্বর সময়ে পুরো এক বছরে বাংলাদেশ মালয়েশিয়া থেকে মোট পামওয়েল আমদানি করে ৯১ হাজার ৩৮৬ টন। এ অবস্থায় ইন্দোনেশিয়া বিশ্বের অর্ধেকর বেশি পামওয়েলের চাহিদা পূরণ করছে। কিন্তু দেশটি স্থানীয় বাজার সংরক্ষণে পামঅয়েল রফতানি বন্ধ করে দিয়েছে। এতে করে বিশ্ব বাজারে পামওয়েলের দাম বৃদ্ধির পাশাপাশি সরবরাহে নতুন সঙ্কট তৈরি করতে পারে।
এদিকে, বাংলাদেশ বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ সয়াবিন তেল আমদানিকারক দেশ। এখানে সয়াবিন তেলের চাহিদার সিংহভাগই আমদানির মাধ্যমে পূরণ করা হয়। তবে ভোজ্যতেলটির উৎপাদন খাতও ধীরে ধীরে বড় হচ্ছে। বিশেষত, চলতি শতকের শুরুর দশক থেকে গতি পেয়েছে দেশে সয়াবিন তেল উৎপাদন। এ ধারাবাহিকতায় গত বছর দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন তেল উৎপাদন হয়েছে। ভোজ্যতেলটির উৎপাদন তিন লাখ টনের মাইলফলক ছাড়িয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, সয়াবিন তেল উৎপাদনকারী দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১৭তম। ২০০৩ সালে দেশে সাকুল্যে ১১ হাজার টন সয়াবিন তেল উৎপাদন হয়েছিল। এরপর টানা কয়েক বছর দেশে পণ্যটির উৎপাদন ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে। ২০০৪ সালে দেশে সয়াবিন তেলের উৎপাদন ৬৩ দশমিক ৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ হাজার টনে। কিন্তু সয়াবিন দিয়ে বাংলাদেশে এখন তেল উৎপাদন করা হচ্ছে না। তবে ভোজ্যতেলের সঙ্কট দূরীকরণে দেশে সয়াবিন উৎপাদন বাড়ানোর পরামর্শ দেয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক ভিডিও বার্তায় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদো নিজ দেশে খাদ্যপণ্যের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করার কথা বলেন। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধকে কেন্দ্র করে বিশ্বজুড়ে রেকর্ড পরিমাণ খাদ্য মূল্যস্ফীতি হওয়ায় তিনি এ উদ্যোগ নিয়েছেন। তিনি বলেন, দেশীয় বাজারে পর্যাপ্ত রান্নার তেল সাশ্রয়ী মূল্যে সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমি এই পদক্ষেপের বাস্তবায়ন পর্যবেক্ষণ ও মূল্যায়ন করব।’ বাণিজ্য সংস্থা সলভেন্ট এক্সট্রাক্টরস এ্যাসোসিয়েশন অব ইন্ডিয়ার সভাপতি অতুল চতুর্বেদী বলেছেন, দেশটির এ সিদ্ধান্ত শীর্ষ ক্রেতা ভারত এবং বিশ্বব্যাপী গ্রাহকদের ক্ষতির মুখে ফেলবে। এই পদক্ষেপ দুর্ভাগ্যজনক ও অপ্রত্যাশিত। ইন্দোনেশিয়ার এ ঘোষণার পর বিকল্প উদ্ভিজ্জ তেল সয়াবিনের দাম বেড়েছে, যা ২৮ এপ্রিল থেকে যা কার্যকর হবে। পামতেলের পর দ্বিতীয় উদ্ভিজ্জ তেল হিসেবে ব্যবহৃত হয় সয়াবিন। এ বছর বিশ্বব্যাপী অপরিশোধিত পামতেলের দাম ইতিহাসের সর্বোচ্চ বেড়েছে। কারণ শীর্ষ উৎপাদক দেশ ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়ায় উৎপাদন কমেছে।
সম্প্রতি বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের এক গবেষণায় বলা হয়, দেশে ২০২০-২১ সালে মোট ২৬ লাখ ৫০ হাজার টন ভোজ্যতেল আমদানি করা হয়েছে। আমদানি করা পামতেলের ৮০ শতাংশ এসেছে ইন্দোনেশিয়া থেকে এবং ২০ শতাংশ মালয়েশিয়া থেকে। এছাড়া চট্টগ্রাম বন্দরের তথ্য বলছে, ২০২০ সালের আগে দু-এক বছর ছাড়া নিয়মিতই ইন্দোনেশিয়া থেকে পামতেলের আমদানি বেড়েছে। বৃদ্ধির হার বছরে ১২ থেকে ১৬ শতাংশ। ইন্দোনেশিয়া উৎপাদন বৃদ্ধি করে বাজার সম্প্রসারণ নীতি নেয়ার কারণে এই পরিস্থিতি তৈরি হয়। বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স এ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স এ্যাসোসিয়েশনের তথ্যমতে, এখন মালয়েশিয়া থেকে পামতেল খুব কমই আমদানি করা হয়। মূলত মালয়েশিয়ার তুলনায় ইন্দোনেশিয়ায় দাম কম। প্রতিটনে ১০ থেকে ১৫ ডলার পার্থক্য থাকে। এ কারণে ইন্দোনেশিয়ার ভোজ্যতেলের ওপর নির্ভর হয়ে পড়েছিল বাংলাদেশ। এবার দেশটি রফতানি বন্ধ করায় বিকল্প উৎস থেকে আমদানি করা হবে। এদিকে দেশে ভোজ্যতেলের দাম বাড়াতে ঈদের আগে সরবরাহ কমিয়ে দিয়ে কৃত্রিম সঙ্কটের অপকৌশল গ্রহণ করা হয়েছে। এতে করে দাম বাড়ছে ভোজ্যতেলের। অতিমুনাফাখোর সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীরা প্রস্তাব দিয়েই ভোজ্যতেলের দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। ইতোমধ্যে তেলের বাজারে এক ধরনের অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ঈদ সামনে রেখে বাজারে দ্রুত ভোজ্যতেলের সরবরাহ নিশ্চিত করার তাগিদ দিয়েছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।
জানা গেছে, ভোজ্যতেলের দাম আবার বাড়বে-এ ধরনের একটি নতুন আতঙ্ক আগে তৈরি হয়েছে বাজারে। আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে মূল্য সমন্বয় করার প্রস্তাব দিয়েই ব্যবসায়ীর দাম বাড়ানোর আতঙ্ক ছড়িয়ে দিয়েছেন। এর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে সারাদেশের খুচরা বাজারে। এখন আতঙ্কে বাড়ছে সব ধরনের ভোজ্যতেলের দাম। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, তিনস্তরে ৩০ শতাংশ ভ্যাট কমানোর সুবিধা পুরোটাই ব্যবসায়ীদের পকেটে। এ থেকে ভোক্তাদের তেমন উপকার হয়নি। কারণ এখনও ক্রেতাদের বেশি দাম দিয়েই ভোজ্যতেল কিনতে হচ্ছে। ব্যবসায়ী পর্যায়ে বাড়ছে ভোজ্যতেলের মজুদের পরিমাণ। হুজুগে ক্রেতারাও বেশি করে তেল কিনছেন। ঈদ সামনে রেখে কৃত্রিম সঙ্কটের আভাস পাওয়া যাচ্ছে। তবে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতরের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, ঈদের আগে ভোজ্যতেলের দাম আর বাড়বে না। এ সময়ে সরকার নির্ধারিত দামেই ভোজ্যতেল বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছে সরকার। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে বাজারে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা আরও জোরদার করা হবে। ইতোমধ্যে দাম বাড়ায় ভোক্তারা সরকার নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দাম দিয়ে রমজানে ভোজ্যতেলের বাড়তি চাহিদা পূরণ করতে বাধ্য হচ্ছেন। ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের কাছে ভোক্তারা জিম্মি হয়ে পড়ছেন। বাজার সহনীয় করতে তিনস্তরে ৩০ শতাংশ ভ্যাট কমানোর সুবিধা ক্রেতারা পাচ্ছেন কি না সেই প্রশ্নও সংশ্লিষ্টদের সামনে এসেছে। অনেকে বলছেন, ভোজ্যতেলে ভ্যাট কমানোর সুবিধা ভোক্তা পর্যায়ে কার্যকর হয়নি। এক্ষেত্রে পুরো সুবিধা ভোগ করছেন বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যবসায়ীরাই। তবে ঈদ সামনে রেখে ভোজ্যতেলের দাম বাড়ানোর প্রস্তাবে সাড়া দেয়নি সরকার। মিলার, পাইকার ও খুচরা পর্যায়ে নির্ধারিত দামে ভোজ্যতেলে বিক্রি করার পরামর্শ দিয়েছে জাতীয় ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদফতর। এ নিয়ে আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে সংস্থাটি।