ডেস্ক নিউজ
কমিউনিটি ক্লিনিক দেশের স্বাস্থ্য পরিষেবা কাঠামো ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার যুগান্তকারী অগ্রগতির প্রধান চালিকাশক্তি হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে রাষ্ট্রপতি এ আশা প্রকাশ করেন। মঙ্গলবার (২৬ এপ্রিল) বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
দেশব্যাপী কমিউনিটি ক্লিনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বাণীতে রাষ্ট্রপতি বলেন, জনগণের প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবাকে সুনিশ্চিত করার মধ্য দিয়ে একটি সুস্থ, কর্মক্ষম ও প্রগতিশীল জাতি গঠনের লক্ষ্যে সরকার সারা দেশে তৃণমূল পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন করছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে কমিউনিটি ক্লিনিক স্বাস্থ্য সহায়তা ট্রাস্টের আওতায় দেশব্যাপী ১৪ হাজার ১৫৮টি কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে, যার মধ্যে ১৪ হাজার ১২৭টি ক্লিনিকে সেবা কার্যক্রম চালু রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ে দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পুষ্টিস্তর উন্নয়ন, জীবনমান বৃদ্ধি ও সার্বিক জনস্বাস্থ্য রক্ষায় কমিউনিটি ক্লিনিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। করোনা মহামারি মোকাবিলায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে তৃণমূল পর্যায়ে স্বাস্থ্যশিক্ষা প্রদান, সামাজিক জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং গণটিকা কর্মসূচির মাধ্যমে কোভিড ভ্যাকসিন প্রদান কার্যক্রমে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রশংসনীয় অবদান রাখছে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠীর নিকট মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা যথাযথ ও কার্যকরভাবে পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম জোরদার করতে সরকার, বেসরকারি সংস্থা, উন্নয়ন সহযোগী প্রতিষ্ঠান, কমিউনিটি গ্রুপ ও কমিউনিটি সাপোর্ট গ্রুপসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে আরও উদ্যোগী হতে হবে।