ডেস্ক নিউজ
ট্রান্সশিপমেন্টের বদলে সরাসরি রুট, বাঁচবে সময় ও অর্থ
ইউরোপ, আমেরিকা ও চীনে পণ্যবাহী জাহাজ যাবে বিরতি ছাড়াই
দেশের আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে মূলত সমুদ্র পথ দিয়েই সম্পন্ন হয়ে থাকে। এসব বাণিজ্যিক কর্মকা-ের ৯২ শতাংশই সম্পন্ন হয় দেশের প্রধান বন্দর চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে। আমদানি-রফতানির বৃহৎ অংশটি সিঙ্গাপুর, কলম্বো, পোর্ট কেলাং দিয়ে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়ে থাকে। এতে পরিবহন ব্যয় যেমন বাড়তি হয়, তেমনি সময়ক্ষেপণ হয়ে থাকে। এমনিতর পরিস্থিতিতে দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে একের পর এক নতুন রুট তৈরি হচ্ছে। এতে করে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম সঙ্কুচিত হওয়ার পথ তৈরি হয়েছে। যা দেশের সমুদ্র বাণিজ্যে নতুন দুয়ার খুলে দিচ্ছে। অপার সম্ভাবনার এই বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হলে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরে যাবে অবিশ^াস্য গতিতে।
চট্টগ্রাম বন্দর সূত্রে জানা গেছে, অতিমারী করোনাকাল অতিক্রম করার পর দেশীয় আমদানি ও রফতানিকারক এবং বিভিন্ন শিপিং সংস্থার উদ্যোগে ইউরোপ, চীন, সংযুক্ত আরব আমিরাত এমনকি আমেরিকার সঙ্গে জাহাজযোগে সরাসরি আমদানি-রফতানি কার্যক্রম চালু করার তৎপরতা শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ইউরোপের সঙ্গে নতুর রুট খুলে গেছে। অর্থাৎ বাংলাদেশ থেকে গার্মেন্টস পণ্য সরাসরি ইতালিতে প্রেরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। ইতালির আমদানিকারকগণ এরই মাঝে দু’দফায় তাদের প্রেরিত জাহাজযোগে গার্মেন্টস পণ্য নিয়ে গেছে। চীনের সঙ্গে সরাসরি রুট রয়েছে। তবে তা বড় আকৃতির নয়। যার ফলে এরই মধ্যে আরও চারটি জাহাজ সরাসরি চীন থেকে চট্টগ্রাম বন্দর আমদানি-রফতানি পণ্য আনা নেয়ার অনুমতি পেয়েছে। এমনিভাবে সিঙ্গাপুর ও কলম্বো বন্দরের হয়ে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে পণ্য আনা নেয়ার প্রক্রিয়াটি বাদ দিয়ে সরাসরি করার জোর তৎপরতা শুরু হয়েছে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, ইউরোপ আমেরিকা থেকে বাংলাদেশের আমদানি পণ্য সিঙ্গাপুর, কলম্বো হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে এসে পৌঁছতে সর্বোচ্চ ৪০ দিন পর্যন্ত সময় নেয়। সরাসরি রুট চালুর প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে তা ১৫ দিনে নেমে আসবে। যা ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম-ইতালি রুটে জাহাজ চালু হওয়ার পর বিষয়টি নিশ্চিত করা গেছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব ওমর ফারুক জানান, বাংলাদেশে যে মোট আমদানি পণ্য রফতানি হয় তার ৪৫ শতাংশ আসে চীন থেকে। কিন্তু এসব পণ্যবোঝাই জাহাজ সরাসরি আসে না। সিঙ্গাপুর হয়ে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ঘুরে আসে। যাতে সময় নেয় ১৫ থেকে ১৭ দিন। অথচ চীনের সঙ্গে সরাসরি জাহাজ চলাচলে সময় নেয় মাত্র ৭ দিন।
সূত্র জানায়, দেশের অর্থনীতির গতি যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে তার সঙ্গে বন্দরকে চ্যালেঞ্জ নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে নিশ্চিতভাবে। আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বেড়ে যাবে। আর বন্দরের সুবিধা সে অনুযায়ী না হলে সকল কার্যক্রম থমকে যেতে বাধ্য। জার্মানির হামবুর্গ পোর্ট কনসালটেন্সি চট্টগ্রাম বন্দরের জন্য ইতোমধ্যে একটি জরিপ কাজ সম্পন্ন করেছে। এতে বলা হয়েছে, ২০১৮ সাল থেকে ২০৪৩ সাল পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেনার হ্যান্ডলিং প্রতিবছর ১০ থেকে ১২ শতাংশ হারে প্রবৃদ্ধি ঘটবে। বিগত ২০২১ সালে এ বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার টিইইউএস প্রবৃদ্ধি ছিল ১৩ দশমিক ১৯ শতাংশ। যা এ বন্দরের ৩০ বছর মেয়াদে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের টার্গেটকে ছাড়িয়ে গেছে। হামবুর্গ পোর্ট কনসালটেন্সি প্রণীত জরিপ অনুযায়ী আগামী ২০৩০ সালে এ বন্দর দিয়ে ৪০ লাখ টিইইউএস কন্টেনার হ্যান্ডলিং হবে। আর ৪৩ সালে উন্নীত হবে ৫৬ লাখ টিইইউএসে।
সূত্র জানিয়েছে, আগামী দিনগুলোতে মংলা, পায়রা বন্দর দিয়ে কন্টেনার হ্যান্ডলিং বর্তমান সময়ের চাইতে অধিকহারে বৃদ্ধি পাবে। এছাড়া পতেঙ্গা টার্মিনাল, বে-টার্মিনাল নির্মাণের কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। এর পাশাপাশি মাতারবাড়িতে গভীর সমুদ্র বন্দরের ফাস্ট ফেজ এবং সীতাকু-ে বন্দরের নিয়ন্ত্রণে জেটি নির্মাণের ফাস্ট ফেজের কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি বেপজার উদ্যোগে মীরসরাইতে বঙ্গবন্ধু শিল্প নগরী কেন্দ্রিক একটি জেটি নির্মাণের পরিকল্পনা নেয়া হয়েছে। এসব বন্দর কার্যক্রম পরিপূর্ণভাবে শুরু হলে কন্টেনার পরিবহনের পরিমাণ প্রায় ১ কোটি টিইইউসে গিয়ে উন্নীত হবে। পরিবহনের মোট কন্টেনারের মধ্যে প্রায় ৯০ লাখ টিইইউএস হ্যান্ডলিং করবে চট্টগ্রাম বন্দর।
দিন যতই যাচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ততই বাড়ছে। চলতি পঞ্জিকা বর্ষ শেষে এ বন্দরে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের পরিমাণ ৩৩ লাখ টিইইউএস ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বন্দর সূত্র জানায়, গত পঞ্জিকা বর্ষে এ বন্দরে জাহাজের আগমন ঘটেছে ৪ হাজার ২০৯টি। এসব জাহাজের মাধ্যমে কার্গো এসেছে ১১ কোটি ৬৬ লাখ ১৯ হাজার ১৫৮ টন। পক্ষান্তরে কন্টেনার হ্যান্ডলিং হয়েছে ৩২ লাখ ১৪ হাজার ৫৪৮ টিইইউএস। উল্লেখ করা যেতে পারে চট্টগ্রাম বন্দরে বর্তমানে কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের জন্য তিনটি টার্মিনাল ও বাল্ক পণ্য খালাসের জন্য একটি টার্মিনাল চলমান রয়েছে। এর পাশাপাশি লাইটারিংয়ের মাধ্যমে পণ্য খালাসের জন্য কর্ণফুলী নদীর দুইপাশে রয়েছে অসংখ্য ঘাট। এসব ঘাট দিয়ে প্রতিনিয়ত আমদানি পণ্য খালাস হয়ে থাকে। এরই মধ্যে সরকারী পরিকল্পনায় পতেঙ্গার লালদিয়ায় বাল্ক টার্মিনাল ও আউটার রিংরোড সংলগ্ন বে-টার্মিনাল নির্মাণ করা হচ্ছে। পাশাপাশি মাতারবাড়ি টার্মিনালের ফাস্ট ফেজের নির্মাণ কাজ এগিয়ে যাচ্ছে। লালদিয়া বাল্ক টার্মিনাল আগামী ২০২৫ এবং বে-টার্মিনাল ২০২৬ সাল নাগাদ বাস্তবায়নের টার্গেট রয়েছে। এসব প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ২০৪১ সালের পূর্বেই চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ দেশকে আমদানি ও রফতানি বাণিজ্যে উন্নত দেশের কাতারে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও কন্টেনার হ্যান্ডলিংয়ের ক্ষমতা অর্জন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বন্দর উন্নয়ন কার্যক্রমে শর্ট, মিড ও লং টার্ম পরিকল্পনা রয়েছে। শর্ট টার্ম ৩ থেকে ৫ বছর। মিড টার্ম ৫ থেকে ৭ বছর ও লং টার্ম ৭ বছরেরও বেশি। এসব পরিকল্পনা বাস্তবায়নের সঙ্গে এখন নতুন সম্ভাবনার দুয়ার খুলে যাচ্ছে। এই বন্দর দিয়ে সরাসরি বিভিন্ন দেশে কন্টেনার পরিবহনের ঘটনায়।
ইতোমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরের চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম শাহজাহান জানান দিয়েছেন চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইতালির পথ ইউরোপের দেশ স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গেও সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হচ্ছে। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক একটি কোম্পানি তিনটি জাহাজ দিয়ে এই কার্যক্রম শুরু করবে। জাহাজগুলো স্পেনের
বার্সিলোনা বন্দর এবং নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম বন্দর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর রুট হয়ে যাতায়াত করবে। মূলত ইতালির সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের জাহাজ চলাচল সরাসরি শুরু হওয়ার পর তা থেকে অভিজ্ঞতা নিয়ে স্পেন ও নেদারল্যান্ডসের সঙ্গে সরাসরি চট্টগ্রাম বন্দরের রুট খুলতে অন্যরা এগিয়ে এসেছে। সরাসরি রুট হলে বার্সিলোনাতে ২০ থেকে ২১ দিনের মধ্যে পণ্য পৌঁছানো যাবে। যা বর্তমানে সিঙ্গাপুর বা কলম্বো হয়ে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে ওই দেশে পৌঁছতে সময় নেয় ৩৫ থেকে ৪০ দিন পর্যন্ত।
চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ইউরোপ, চীন, আমেরিকাসহ বিভিন্ন দেশের সরাসরি রুট খোলার ব্যাপারে পোশাক তৈরির সঙ্গে জড়িত সংস্থাগুলোর আগ্রহের কমতি নেই। কারণ রফতানি পণ্যের মধ্যে পোশাকই সবচেয়ে বেশি। যা ইউরোপ, আমেরিকা, চীনসহ বিভিন্ন দেশে যাচ্ছে। এই যাওয়ার প্রক্রিয়ায় ব্যয় এবং সময় বাঁচাতে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো বিভিন্ন জাহাজ কোম্পানির সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছে। আর এতে করে সম্ভাবনার নতুন দুয়ার খুলে যাচ্ছে। কারণ এতে করে বাংলাদেশের রফতানিকারকরা এক সঙ্গে বিপুল পরিমাণ পণ্য ইউরোপের বিভিন্ন দেশে প্রেরণ করতে পারবে। উল্লেখ্য গত ৭ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর থেকে সর্বপ্রথম ইউরোপের দেশ ইতালিতে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হয়। ইতোমধ্যে দক্ষিণ ইউরোপের আরেক দেশ পর্তুগালের লেইক্সজ বন্দর এবং মধ্যপ্রাচ্যে দুবাই বন্দর থেকেও চট্টগ্রাম বন্দরে সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু করার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। শীঘ্রই এই ব্যাপারে এমওইউ (সমঝোতা স্মারক) স্বাক্ষর হবে বলে জানিয়েছে বন্দর সূত্র।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, বর্তমানে আমেরিকার সঙ্গেও সরাসরি জাহাজ যোগাযোগ শুরুর একটি বিশাল সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এসব সম্ভাবনাকে গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বন্দর কর্তৃপক্ষ। শিপিং সংস্থা বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিঙ্গাপুর, কলম্বো ও পোর্ট কেলাংয়ের মাধ্যমে ট্রান্সশিপমেন্ট হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে অধিকাংশ পণ্য আমদানি হয়ে থাকে। অথচ সরাসরি জাহাজ চলাচল শুরু হলে ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে আমদানি ও রফতানির পরিবহন অনেকাংশে হ্রাস পাবে। এতে করে বিদেশী ক্রেতাদের অর্ডার আরও বেশি পরিমাণে বেড়ে যাবে।
বন্দর সূত্র জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্য চট্টগ্রাম বন্দরের পরিচিতি এখন সর্বত্র স্বীকৃতি লাভ করেছে। গত অর্থবছরে চট্টগ্রাম বন্দর ১২ থেকে ১৪ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। আন্তর্জাতিক সংস্থার জরিপে ২০২১ সালে এ বন্দর বিশে^র ১০০টি কন্টেনার হ্যান্ডলিং পোর্টের মধ্যে ৬৭তম অবস্থানে উন্নীত হয়েছে। সূত্র আরও জানায়, এই বন্দর থেকে পণ্য খালাসে ইলেকট্রনিক ডেলিভারি অর্ডার (ইডিও) পদ্ধতি চালু হয়েছে। সার্বিক পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙ্গর সীমা ৭ থেকে ৫০ নটিক্যাল মাইলে উন্নীত করা হয়েছে। বহির্নোঙ্গরে জাহাজসমূহ নজরদারি বৃদ্ধি করাতে নো-ডাকাতি শূন্যের কোটায় নেমে এসেছে। যা পাইরেসি পর্যবেক্ষক সংস্থা রিক্যাপের কাছে সমাদৃত হয়েছে। চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এ্যাডমিরাল এম শাহজাহান সর্বশেষ এই বন্দর দিবসের প্রাক্কালে নিশ্চিত করে জানান দিয়েছেন, এই বন্দরে জাহাজজট পরিস্থিতি নেই। যা অতীতের সকল অস্বাভাবিক পরিস্থিতির অবসান ঘটিয়েছে। এতে করে চট্টগ্রাম বন্দরে সুনাম বৃদ্ধি পেয়েছে। কন্টেনারও কার্গো হ্যান্ডলিং প্রক্রিয়ায় অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। এসব বিষয়াদি পর্যবেক্ষণে রয়েছে আন্তর্জাতিক সমুদ্র বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত সংশ্লিষ্ট সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলো। এরই প্রেক্ষিতে এই বন্দরের সঙ্গে সরাসরি জাহাজের রুট খোলার প্রক্রিয়াটি নানাভাবে আলোচনায় চলে এসেছে। ফলশ্রুতিতে ইউরোপ, চীন এবং আমেরিকার বিভিন্ন আমদানিকারকরা ট্রান্সশিপমেন্টের পদ্ধতির বদলে সরাসরি রুট খোলার ব্যাপারে অতীব আগ্রহী হয়ে উঠেছে। এতে করে প্রথম সাফল্য এসেছে চট্টগ্রাম ইতালি রুট। আগামীতে স্পেন, চীন, পর্তুগাল, নেদারল্যান্ড, জার্মানি এবং এমনকি আমেরিকার সঙ্গেও সরাসরি জাহাজ চলাচল রুট শুরু হওয়ার অপার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। এসব রুট খুলে গেলে বাংলাদেশের অর্থনীতির গতি বহুলাংশে বৃদ্ধি পাবে বলে ধারণা করছে সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো।