ঈদের পরও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স প্রবাহে সুবাতাস বইছে, যার উপর ভর করে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভ উপরের দিকে উঠছে।
চলতি মে মাসের ১৯ দিনেই ১৩১ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। বর্তমান বিনিময় হার হিসাবে (প্রতি ডলার ৮৭ টাকা ৫০ পয়সা) টাকার অঙ্কে এই অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার ৪৮২ কোটি টাকা।
মাসের বাকি ১২ দিনে এই হারে রেমিট্যান্স এলে গত এপ্রিল মাসের মতো মে মাসেও অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক ২ বিলিয়ন (২০০ কোটি) ডলার ছাড়িয়ে যাবে। আর এর মধ্য দিয়ে রেমিট্যান্সপ্রবাহ গত অর্থবছরের মতো উল্লম্ফনের ধারায় ফিরে যাবে বলে বলে আশা করছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
করোনা মহামারির মধ্যেও সবাইকে অবাক করে দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ২৪ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা, যা ছিল আগের অর্থবছরের (২০১৯-২০) চেয়ে ৩৬ দশমিক ১০ শতাংশ বেশি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এর আগে কখনই এক বছর বা অর্থবছরে এতো বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসেনি। কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই অর্থনীতির এই সূচকে ভাটার টান লক্ষ্য করা যায়। প্রতি মাসেই কমতে থাকে; তবে গত দুই মাস ধরে সুবাতাস বইছে।
মার্চ মাসে ১৮৬ কোটি ডলার দেশে পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। এপ্রিল মাসে পাঠান ২০১ কোটি ডলার। একক মাসের হিসাবে যা ছিল ১১ মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। তথ্য বলছে, চলতি মে মাসেও সেই ধারা অব্যাহত আছে। মাস শেষে ২ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স আসবে।
গত ৩ মে দেশে রোজার ঈদ উদযাপিত হয়েছে। ঈদকে সামনে রেখে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে দেশে। প্রতি বছরই দুই ঈদকে সামনে রেখে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা সারতে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি অর্থ পাঠান প্রবাসীরা। ৯ অথবা ১০ জুলাই দেশে কোরবানির ঈদ উদযাপিত হবে। সেই উৎসবকে কেন্দ্র করেও দেশে বেশি রেমিট্যান্স আসবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদ ও ব্যাংকাররা।
অতীতে দেখা গেছে, দুই ঈদের পরের এক-দুই মাস রেমিট্যান্স কিছুটা কম আসে। কিন্তু এবার উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে।
টানা পাঁচ মাস কমার পর ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে বেড়েছিল অর্থনীতির গুরুত্বপূর্ণ এই সূচক। কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে ফের হোঁচট খায়। ওই মাসে ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। মার্চ মাসে এসেছিল ১৮৬ কোটি ডলার।
সবশেষ এপ্রিল মাসে এসেছে ২০০ কোটি ৯৫ লাখ ডলার; যা গত বছরের এপ্রিল মাসের প্রায় সমান। ২০২১ সালের এপ্রিলে এসেছিল ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার।
ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে এসেছিল যথাক্রমে ১৬৩ কোটি ৬ লাখ ও ১৭০ কোটি ৪৫ লাখ ডলার। ফেব্রুয়ারি মাস ২৮ দিন হওয়ায় ওই মাসে রেমিট্যান্স প্রবাহ কমেছিল বলে জানায় ব্যাংকগুলো।
তবে মার্চ মাসে এই সূচকে ফের গতি ফেরে; ওই মাসে ফেব্রুয়ারি মাসের চেয়ে ২৪ দশমিক ৪৫ শতাংশ বেশি রেমিট্যান্স দেশে আসে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সিরাজুল ইসলাম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘প্রণোদনা বেড়েছে। ঈদ উৎসবকে সামনে রেখে এপ্রিল মাসে পরিবার-পরিজনের কাছে বেশি বেশি টাকা পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। সামনে কোরবানির ঈদ আছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হওয়ায় ওই দেশগুলো থেকে বেশি রেমিট্যান্স আসবে। সবকিছু মিলিয়ে আগামী দিনগুলোয় রেমিট্যান্সের এই ইতিবাচক ধারা অব্যাহত থাকবে।’
২০২০ সালের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ার পর রেমিট্যান্স প্রবাহেও তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই বছরের এপ্রিলে মাত্র ১০৯ কোটি ২৯ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এর পর থেকে অবশ্য মহামারির মধ্যেও ২০২০-২১ অর্থবছরের পুরোটা সময়ে (২০২০ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জুন) রেমিট্যান্সের উল্লম্ফন দেখা যায়।
ওই অর্থবছরে অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে ২ হাজার ৪৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা।
কিন্তু চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের শুরু থেকেই রেমিট্যান্স প্রবাহে ভাটার টান দেখা যায়। প্রথম মাস জুলাইয়ে আসে ১৮৭ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আগস্টে আসে ১৮১ কোটি ডলার। সেপ্টেম্বরে আসে ১৭২ কোটি ৬২ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ১৬৪ কোটি ৭০ লাখ ডলার। নভেম্বরে আসে আরও কম, ১৫৫ কোটি ৩৭ লাখ ডলার।
দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে বিভিন্ন দেশে থাকা সোয়া কোটি বাংলাদেশির পাঠানো অর্থ। দেশের জিডিপিতে সব মিলিয়ে রেমিট্যান্সের অবদান ১২ শতাংশের মতো।
রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়াতে নতুন বাজেটে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান। ৯ জুন ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেট জাতীয় সংসদে প্রস্তাব করবেন অর্থমন্ত্রী আ হ মুস্তফা কামাল। সেই প্রস্তাবে প্রণোদনা বাড়ানোর ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
নিউজবাংলাকে বৃহস্পতিবার নিজ বাসভবনে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে নতুন বাজেট নিয়ে রেমিট্যান্স প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী মান্নান বলেন, ‘নতুন বাজেটে রেমিট্যান্স বাড়ানোর দিকে জোর দেয়া হবে। তার অংশ হিসাবে প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্সে প্রণোদনা বাড়ানোর ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়েছেন। আমরা এবার এই প্রণোদনা আড়াই শতাংশ থেকে বাড়িয়ে তিন শতাংশ করব।’
২০১৯-২০ অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে রেমিট্যান্সে প্রণোদনা দিচ্ছে সরকার। ২০২১ সাল পর্যন্ত ২ শতাংশ হারে প্রণোদনা দেয়া হয়। ওই সময় পর্যন্ত প্রবাসীরা ১০০ টাকা দেশে পাঠালে ২ টাকা প্রণোদনা পেতেন।
চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে প্রণোদনা বাড়িয়ে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়। প্রবাসীরা এখন ১০০ টাকা দেশে পাঠালে আড়াই টাকা প্রণোদনা পাচ্ছেন।
নতুন বাজেটে প্রণোদনা বাড়িয়ে ৩ শতাংশ করা হলে আগামী ১ জুলাই থেকে ১০০ টাকা দেশে পাঠালে ৩ টাকা প্রণোদনা পাওয়া যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, মে মাসের ১৯ দিনে যে রেমিট্যান্স এসেছে, তার মধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ছয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১৯ কোটি ৫৭ লাখ ডলার। বিশেষায়িত কৃষি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ৯২ লাখ ডলার। ৪২টি বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ১০৯ কোটি ১৫ লাখ ডলার। আর পাঁচটি বিদেশি ব্যাংকের মাধ্যমে এসেছে ৫৭ লাখ ৩০ হাজার ডলার।
তবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের দশ মাসের (জুলাই-এপ্রিল) হিসাবে এখনও নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে রেমিট্যান্স। এই দশ মাসে ১ হাজার ৭৩০ কোটি ৭৭ লাখ (১৭.৩০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে পাঠিয়েছিলেন ২ হাজার ৬৬ কোটি ৫৮ লাখ ডলার (২০.৬৬ বিলিয়ন) ডলার।
এ হিসাবে জুলাই-এপ্রিল সময়ে রেমিট্যান্স কমেছে ১৬ দশমিক ২৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) জ্যেষ্ঠ গবেষণা পরিচালক মঞ্জুর হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে হুন্ডি বন্ধ থাকায় প্রবাসীরা সব টাকা ব্যাংকিং চ্যানেলে পাঠিয়েছিলেন। সে কারণে ২০২০-২১ অর্থবছরে প্রায় ২৫ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল।’
‘জানুয়ারি থেকে প্রণোদনা বাড়ানোয় রেমিট্যান্স প্রবাহ কিছুটা বেড়েছে। বরাবরের মতো রোজার ঈদের আগের মাস এপ্রিলে বেড়েছে। ঈদের পরে রেমিট্যান্স বাড়া একটি ভালো লক্ষণ। জুলাইয়ে কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে আরও বাড়বে। প্রণোদনা ৩ শতাংশ করলে তারও একটা প্রভাব পড়বে। সবমিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে রেমিট্যান্স ভালোই আসবে বলে মনে হচ্ছে।
‘কিন্তু কার্ব মার্কেট বা খোলা বাজারে ডলারের দর যদি ব্যাংক রেটের চেয়ে অনেক বেশি থাকে, তাহলে প্রণোদনা পাওয়ার পরও প্রবাসীরা বাড়তি টাকার আশায় অবৈধ হুন্ডির মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠাবেন। সেক্ষেত্রে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স কমে যাবে।
‘তাই, ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স আনতে সরকার ও কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সমন্বিতভাবে পদক্ষেপ নিতে হবে।’
সরকারের প্রণোদনার পাশাপাশি প্রবাসীদের ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠাতে উৎসাহিত করতে ব্যাংকগুলোকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দেয়ার জন্য নতুন বাজেটে আহ্বান জানানো হবে বলে জানান পরিকল্পনামন্ত্রী এ এ মান্নান।
এর ফলে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়বে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘নভেম্বরে কাতারে বিশ্বকাপ ফুটবলকে কেন্দ্র করে কাতারসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি চাঙা হয়েছে। জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণেও ফুরফুরে মেজাজে আছে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর অর্থনীতি। আমাদের বিপুলসংখ্যক প্রবাসী এসব দেশে কাজ করেন। গত এক বছরে কয়েক লাখ লোক নতুন করে সেখানে গেছেন। সব মিলিয়ে আগামী দিনগুলোতে আমাদের রেমিট্যান্স আরও বাড়বে বলে আমি মনে করি।’
রিজার্ভ বাড়ছে
রোববার দিন শেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের বিদেশি মুদ্রার সঞ্চয়ন বা রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৪ হাজার ২৩৩ কোটি (৪২.৩৩ বিলিয়ন) ডলার।
আমদানি ব্যয় বাড়ায় গত ৯ মে আকুর (এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়ন) রেকর্ড ২২৪ কোটি (২ দশমিক ২৪ বিলিয়ন) ডলার আমদানি বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ ৪১ দশমিক ৯০ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে। এরপর সপ্তাহ খানেক রিজার্ভ ৪২ বিলিয়নন ডলারের নিচে অবস্থান করে।
রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয় বাড়ায় গত বুধবার রিজার্ভ ৪২ বিলিয়ন ডলার অতিক্রম করে। গত কয় দিন তা আরও বেড়ে রোববার দিন শেষে ৪২ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারে উঠেছে।
জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি ও মার্চ- প্রতি মাসে ৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি পণ্য আমদানি হয়েছে দেশে। এ হিসাবে এই রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে পাঁচ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
গত বছরের ২৪ আগস্ট এই রিজার্ভ অতীতের সব রেকর্ড ছাপিয়ে ৪৮ বিলিয়ন ডলারের মাইলফলক অতিক্রম করে। তখন ওই রিজার্ভ দিয়ে প্রায় ১০ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো যেত। তখন অবশ্য প্রতি মাসে ৪ থেকে সাড়ে ৪ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হতো।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, ইরান, মিয়ানমার, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও মালদ্বীপ বর্তমানে আকুর সদস্য। এই দেশগুলো থেকে বাংলাদেশ যেসব পণ্য আমদানি করে তার বিল দু’মাস পর পর আকুর মাধ্যমে পরিশোধ করতে হয়।
আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রা মজুত থাকতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যে দেখা যায়, চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে (জুলাই-মার্চ) ৬৪ দশমিক ৫০ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করেছেন ব্যবসায়ী-উদ্যোক্তারা। এই অঙ্ক গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ বেশি।
তবে রপ্তানি বাণিজ্যে বেশ উল্লম্ফন ধরে রেখেছে বাংলাদেশ। এই ১০ মাসে বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে ৪৩ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলার আয় করেছে দেশ, যা গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ দশমিক ১৪ শতাংশ বেশি।