ডেস্ক নিউজ
দিন দিন বেড়েই চলছে ঢাকায় গাড়ির সংখ্যা। যেভাবে ঢাকায় গাড়ি বাড়ছে সেভাবে প্রশ্বস্ত হচ্ছে না ঢাকার সড়কগুলো। এই জন্য স্বাভাবিক গাড়ির তুলনায় বেশি গাড়ি চলে আসলেই বেঁধে যায় যানজট। একেকটা যানজটে নষ্ট হচ্ছে লাখ লাখ কর্মঘণ্টা। শুধু মাত্র ঢাকার যানবাহন ছাড়াও প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানগামী অসংখ্য গাড়ি ঢাকায় প্রবেশ করছে। এতে করে রাজধানীর গুরত্বপূর্ণ কোনো স্পটে যানজট লাগলে সেটা খুব দ্রুতই পুরো রাজধানী ছেয়ে যায়। রাজধানীর এই যানজট নিরসনে নতুন প্রকল্প হাতে নিচ্ছে সরকার।
সরকারি-বেসরকারি অর্থায়নে নির্মাণ করা হবে ঢাকায় আউটার রিং রোড। এটি বাস্তবায়ন হলে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তের গাড়ি রাজধানীর ভেতরে প্রবেশ না করেই যাতায়াত করতে পারবে। রাজধানীতে গাড়ির চাপ সামলাতে এ প্রকল্প নেওয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে প্রথমে হবে দক্ষিণ অংশের কাজ।
ঢাকার পূর্ব-পশ্চিমের তুলনায় উত্তর-দক্ষিণে গাড়ির চাপ বেশি। তাই ঢাকার চার পাশে ইনার রিং রোড ও আউটার রিং রোড নির্মাণ করা হবে। এজন্য রুট নির্ধারণ করা হয়েছে। সংশোধিত রুটটি হলো হেমায়েতপুর-কালাকান্দি-তৃতীয় শীতলক্ষ্যা সেতু-মদনপুর-ভুলতা (ঢাকা বাইপাস হয়ে)-কড্ডা (গাজীপুর)-বাইপাইল (ঢাকা ইপিজেড)-হেমায়েতপুর। এ রুটের মোট দৈর্ঘ্য ১৩০ কিলোমিটার।
এর মধ্যে ৪৬ কিলোমিটারে নতুন সড়ক নির্মাণ করতে হবে। উন্নয়ন করতে হবে অবশিষ্ট ৮৪ কিলোমিটার বিদ্যমান সড়ক। এ মহাসড়কটি নির্মাণ করা হবে ৩ বছরে। ২৫ বছর পর্যন্ত টোল দিতে হবে এ পথ পাড়ি দেওয়া যানগুলোকে। এ প্রসঙ্গে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী ইবনে আলম হাসান জানান, ঢাকায় একটি আউটার রিংরোড নির্মাণ করবে সওজ। এর মাধ্যমে মূল শহরে প্রবেশ ছাড়াই গাড়ি পারাপার হতে পারবে। ফলে নগরীর যান চলাচলে চাপ কমবে।
জানা গেছে, নির্মাণাধীন পদ্মা সেতু দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে উত্তর ও পূর্বাংশের সংযোগ স্থাপন করবে। পদ্মা সেতু চালু হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলা থেকে মুন্সীগঞ্জ ও মাওয়া হয়ে যাত্রাবাড়ী দিয়ে অসংখ্য যান ঢাকা শহরে প্রবেশ করবে। এতে যোগাযোগব্যবস্থা অসহনীয় করে তুলতে পারে। তাই সংশোধিত এসটিপিতে প্রস্তাবিত এলাইনমেন্টের মধ্যে রিং রোডের দক্ষিণ অংশ গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বলা হয়েছে। সেখানে আরও বলা হয়, এ দক্ষিণ অংশ মানে হেমায়েতপুর-কালিকান্দি-মদনপুর অতিদ্রুত নির্মাণ করা উচিত। এই ৪৮ কিলোমিটার অংশের জন্য তিনটি রুটি প্রাথমিকভাবে চূড়ান্ত করা হয়েছে। এটি ঢাকা-আরিচা মহাসড়ককে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সঙ্গে যুক্ত করবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে ঢাকা শহরে না ঢুকে দেশের এক প্রান্ত থেকে অপর প্রান্তে যেতে পারবে যানবাহন। যাত্রাকালে জ্বালানি সরবরাহ, যাত্রীদের বিশ্রাম ও পানাহাররের জন্য ১টি সার্ভিস এরিয়ার সংস্থান রাখা হয়েছে। প্রকল্পটির প্রাথমিক ব্যয় ধরা হয়েছে ১০ হাজার ২০০ কোটি টাকা। নির্মাণকালীন ৩ বছরসহ সর্বমোট কনসেশন পিরিয়ড হবে ২৫ বছর।
টানা তৃতীয়বার শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর দ্রুত বদলে গিয়েছে পুরো বাংলাদেশের চিত্র। একের পর এক উন্নয়নে বাংলাদেশের রূপই বদলে গিয়েছে। ফ্লাইওভার, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েসহ আরো কত যে উন্নয়ন হয়েছে এই দেশে তা কল্পনারও বাইরে। বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য যা যা করার দরকার তাই করে যাচ্ছে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার।