নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়ায় তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় ডাবের দাম এখন আকাশচুম্বী। প্রচণ্ড তাপপ্রবাহে ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়া, দেখা দিয়েছে স্যালাইন সংকট। সারাদিন গরমে অতিষ্ঠ হয়ে মানুষ চাইছেন একটু তৃষ্ণা মেটাতে। এর জন্য মানুষের প্রথম পছন্দ ডাব। কিন্তু ডাবের দাম অনেক বেশি থাকায় সাধারণ মানুষ এখন ডাব কিনতে সাহস পাচ্ছে না। গরম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে ডাবের দাম। সিংড়ার জনপদে প্রকারভেদে ডাবের দাম ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত।
বুধবার পৌরসভার বিভিন্ন ডাবের দোকান ঘুরে ঘুরে দেখা গেছে, আকার ভেদে প্রতি পিস ডাব ৮০ টাকা থেকে ১২০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। স্বাভাবিকের তুলনায় দাম বেশি হওয়ায় অনেকে শুধু দাম শুনেই ফিরে যাচ্ছেন।
ডাবচাষী আবির হোসেন বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবার গাছে ফলন খুবই কম হয়েছে। ডাব কম হওয়ায় চাহিদাও বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে ডাবের দাম অনেক বেশি।
ডাব ক্রেতা এনামুল হক বলেন, ১২০ টাকা প্রতি পিস দাম চেয়েছিল, অনেক দরাদরির পরে ৯০ টাকা দরে ৩টা ডাব কিনেছি।
ডাব বিক্রেতারা বলছেন, প্রচণ্ড তাপদাহে ডাবের চাহিদা বেড়ে গেছে। আগের মতো কম দামে ডাব কিনতে না পারায় বাধ্য হয়ে বেশি দামে ডাব বিক্রি করছেন। তাছাড়া ডাবের ফলনও কমতে শুরু করেছে। গাছ থেকে ডাব পাড়া, পরিবহনসহ দাম অনেক বেশি পড়ে যাচ্ছে। তাই দামটাও একটু বেশি।
সিংড়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ডাব বিক্রেতা আনছার আলী মাঝারি সাইজের ডাব বিক্রি করছেন ৮০ টাকা, আর বড় সাইজের ১২০ টাকা। তিনি বলেন, আমরা এই ডাব গড়ে ৬০ টাকা করে কিনে থাকি। ডাব পাড়া, পরিবহণসহ অনেক খরচ পড়ে যায়, এরমধ্যেও অনেকটা খারাপ থাকে। তাই বেশি দামে বিক্রি করে পুষিয়ে নেই।
সিংড়া সচেতন নাগরিক সমাজ এর সদস্য সচিব মো. এমরান আলী রানা বলেন, চাষী থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে কয়েকটা হাত বদল হয়। দাম বৃদ্ধির সবচেয়ে বড় কারণ এটা। সরকারের উচিত চাষী থেকে সরাসরি ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছানোর জন্য বাজার ব্যবস্থাপনা তৈরি করা। এতে করে ডাবসহ প্রতিটি ফসল-সবজির দাম নিয়ন্ত্রনে থাকবে।