ডেস্ক নিউজ
বাণিজ্য মন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষে চলতি মাসে সারা দেশে টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী এক কোটি পরিবারের মাঝে ২ লিটার সয়াবিন তেল, ১ কেজি চিনি, ২ কেজি মশুর ডাল সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম শুরু হবে। ফলে নিম্ন আয়ের মানুষ উপকৃত হবে। এতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের বাজার স্হিতিশীল থাকবে এবং কোন পণ্যের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করিবার সুযোগ থাকবে না। এছাড়া বাজার নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে জরুরি পরিস্হিতিতে প্রয়োজনে প্রতি মাসে টিসিবি থেকে সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী ১ কোটি পরিবারের মাঝে বিক্রয় করা হবে।
বুধবার (৮ জুন) নিত্যপণ্যের উচ্চ মূল্যের প্রভাবে নিম্ন ও মধ্যম আয়ের মানুষের জীবন-জীবিকা দুর্বিসহ হয়ে পড়েছে, নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতাকে সামাল দিতে সরকার কোনো পদক্ষেপ নিয়েছে কি না সংসদ সদস্য মোকাব্বির খানের (সিলেট-২) এক তারকা চিহ্নিত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের অধিবেশন শুরু হয়।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, দ্রব্যমূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার জন্য জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ঢাকাসহ সকল মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে বাজার মনিটরিং ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে। এই অধিদপ্তর প্রত্যেক মাসে সারাদেশে ৩০০-এর অধিক বাজার পরিদর্শনমূলক অভিযান পরিচালনা করছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখাসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে মূল্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণের লক্ষ্যে ৪২টি বাজার মনিটরিং টিম গঠন করা হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাদের নেতৃত্বে প্রতিদিন ৪টি করে সপ্তাহে মোট ২৮টি টিম ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে মূল্য পরিস্হিতি পর্যবেক্ষণ করছে।
তিনি আরো বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম বাড়লে পণ্যের বাজার নিয়ন্ত্রণ করতে টিসিবি ঢাকা মহানগরীসহ সারাদেশে ৩ হাজার ডিলারের মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ট্রাক সেলের মাধ্যমে খোলা বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রি করছে। বর্তমানেও জরুরি পরিস্হিতির পরিপ্রেক্ষিতে ট্রাক সেলের মাধ্যমে সুলভ মূল্যে তেল, ডাল, চিনি ও পেঁয়াজসহ অন্যান্য পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, সকল সিটি কর্পোরেশন (ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এবং বরিশাল সিটি কর্পোরেশন এলাকা ব্যতীত), জেলা, উপজেলা, পৌরসভা এবং ইউনিয়ন পর্যায়ে দেশের সকল জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিম্ন আয়ের ১ কোটি পরিবারের কাছে প্রথমবার রমজান শুরুর আগে ২০ মার্চ-৩১ মার্চ পর্যন্ত এবং দ্বিতীয়বার রমজানের মাঝামাঝি সময়ে ৩ এপ্রিল -২৫ এপ্রিল পর্যন্ত মোট দুই বার টিসিবির পণ্যসামগ্রী ভর্তুকি মূল্যে বিক্রয় করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ভোক্তা পর্যায়ে দ্রব্যমূল্যের অস্বাভাবিক পার্থক্য নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে পাইকারি এবং খুচরা বাজারে পাঁকা রশিদের মাধ্যমে ব্যবসা পরিচালনার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিষয়টি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর কঠোরভাবে মনিটরিং করছে। এই বিষয়ে কোন অনিয়ম পেলে প্রয়োজনীয় আইননুগ ব্যবস্হা ও গ্রহণ করা হচ্ছে।