ডেস্ক নিউজ
বাংলাদেশ দল সাফল্য পেলেই সংবর্ধনার মাধ্যমে লাল-সবুজের ক্রীড়াবিদদের উৎসাহ দিয়ে থাকেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবারও এর ব্যতিক্রম ঘটছে না। এবার সংবর্ধনা পাচ্ছেন সাফ অনুর্ধ্ব-১৯ নারী ফুটবল টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়নরা। স্বাধীনতার ৫০তম বছরে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে যেটি ছিল সর্বোচ্চ অর্জন।
আগামী ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ অ-১৯ নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেবেন। সেই সংবর্ধনা নিয়ে নারী ফুটবল দল রাতে সিলেটে উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
বাংলাদেশের মাটিতে প্রথমবারের মতো ফিফা আন্তর্জাতিক নারী ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। মালয়েশিয়ার বিপক্ষে ২৩ ও ২৬ জুন দুটি প্রীতি ম্যাচ উপলক্ষে ১৭ জুন সিলেটে যাওয়ার কথা ছিল সাবিনা খাতুনদের। তবে তা পিছিয়ে ১৯ জুন করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রীর সংবর্ধনার কারণে। আজ বাফুফে ভবনে মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারপারসন মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন এই কথা।
ম্যাচের এক সপ্তাহ আগে যাওয়ার কারণ ছিল ঘাসের মাঠে অনুশীলন করা। সংবর্ধনার জন্য সিলেট যাওয়া পিছিয়ে গেলেও ঢাকাতেই ঘাসের মাঠে অনুশীলনের ব্যবস্থা করেছে বাফুফে। মাহফুজা আক্তার কিরণ জানিয়েছেন, ‘শেখ জামাল ধানমন্ডি মাঠে ফুটবলাররা এই কয়েকদিন অনুশীলন করবে।’
২৩ ও ২৬ জুনের ম্যাচের সময়সূচি এখনো চুড়ান্ত হয়নি। বাফুফের পরিকল্পনা ফ্লাডলাইটে আয়োজন করার। কিন্তু সিলেট স্টেডিয়ামে বিদ্যুৎ বিল বকেয়া থাকায় জটিলতা রয়েছে। কিরণ জানিয়েছেন, ‘জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছে। এখনো আনুষ্ঠানিক অনুমতি পাওয়া যায়নি ফ্লাডলাইটের। আগামীকালের মধ্যে ফ্লাডলাইটের বিষয়টি চূড়ান্ত হবে।’ ফ্লাডলাইটের অনুমতি না মিললে বিকেল চারটায় হতে পারে ম্যাচ।
মালয়েশিয়া নারী ফুটবল দল ঢাকায় পৌঁছাবে ২০ জুন। সেদিন পৌঁছেই সিলেট যাবে সরাসরি সফরকারী দলটি। দেশের মাটিতে প্রথম নারী আর্ন্তজাতিক প্রীতি ম্যাচ উপলক্ষে বাফুফে নানা প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।