নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের সিংড়া পৌরসভার দক্ষিণ দমদমা গ্রামের কৃষক আবুল কাশেম প্রামাণিকের ৫ ছেলে। এন্তাজ, মন্তাজ, আন্তাজ, এমদাদুল ও ওবায়দুল নামের ৫ ভাই এলাকার পরিশ্রমি কৃষক হিসেবে পরিচিত। ৫ ভাইয়ের ভিন্ন সংসার হলেও জমি-জমার চাষাবাদ করেন একত্রেই। কঠোর পরিশ্রম আর নিয়মিত পরির্চচার জন্য ধান, গম, সরিষাসহ যে কোনো ফসলের ফলন পান অন্য কৃষকের চেয়ে একটু বেশি।
ধান ও রবি শস্যের পাশাপাশি এবার মিশ্র সবজি চাষে সফল হয়েছেন তাঁরা। ৪ বিঘা জমিতে মিশ্র এই সবজি খামারে আছে তড়ই, শসা, ঝিঙা, করলাসহ প্রায় ৬ রকমের সবজি।
সরেজমিনে নাটোর-বগুড়া মহাসড়কের সিংড়ার জলারবাতার মাঠে গিয়ে দেখা যায় ৫ ভাইয়ের সবজি খামারের মাচা জুড়ে ঝুলছে করলা, শসা, তড়ইসহ নানান রকম সবজি। খামারে সবজি উঠানো নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। খামারে কাজ করছেন আরও ৩ নারী শ্রমিক। পাইকারী সবজি কিনতে আসা এক ব্যবসায়ী জানান মাচায় চাষ হওয়া যে কোনো সবজির বাজারে খুব চাহিদা। তাই খামার থেকেই আমরা নগদ টাকায় সবজি কিনে বাজারে বিক্রি করি।
কৃষক আন্তাজ জনান, আমরা ৫ ভাই এবারই প্রথম মিশ্র সবজি চাষ শুরু করেছি। মাচা তৈরী, জমি চাষ, সার ও শ্রমিকসহ ৪ বিঘা জমিতে আমাদের খরচ হয়েছে ১ লাখ ২০ হাজার টাকা। খামারে রোপনের আড়াই মাস পর সবজি উঠানো শুরু করেছি। গত ২০ দিনে ৫০ হাজার টাকার সবজি উঠানো হয়েছে। আমরা আশা করছি এখনও ২ লাখ টাকার অধিক সবজি বিক্রয় করবো। তাতে খরচ বাদে ১ লাখ টাকার বেশি লাভের আশা করছি। খামারের মাচা ঠিক থাকলে আগামী বছরে এই লাভ দ্বিগুন হবে বলেও আশা করছেন কৃষক আন্তাজ।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ সেলিম রেজা বলেন, সবজিসহ যেকোনো কৃষি চাষাবাদে কৃষকদের পাশে থেকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন উপজেলা কৃষি অফিস। তবে একই জমিতে মিশ্র সবজি চাষে অনেকেই লাভবান হচ্ছেন। আমরা এসব চাষে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছি।