ডেস্ক নিউজ
বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এখনো ভালো আছে বলে মনে করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার। এখন নাই নাই করেও রিজার্ভ চার হাজার কোটি ডলার।
আজ বুধবার ভার্চ্যুয়ালি অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত ও অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী এ সব কথা বলেন।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘চার হাজার কোটি ডলারের রিজার্ভ কিন্তু আগে কখনো ছিল না। আমাদের সরকারের তিন মাসের মাথায় রিজার্ভ ৭০০ কোটি থেকে ১ হাজার কোটি ডলারে ওঠে। সেখান থেকে বছরে বছরে বেড়ে হলো ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে যাচ্ছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করার কিছু নেই বলেও মনে করেন অর্থমন্ত্রী।
বাংলাদেশের রিজার্ভের হিসাব পদ্ধতি নিয়ে আইএমএফের প্রশ্ন রয়েছে। প্রকৃত রিজার্ভ অর্থমন্ত্রীর দেওয়া তথ্যের চেয়ে আরও কম। এ নিয়ে জানতে চাইলে আইএমএফের সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করে অর্থমন্ত্রী বলেন, রিজার্ভের হিসাব বিভিন্ন দেশ যেভাবে করে, বাংলাদেশও সেভাবেই করছে এবং সেভাবেই করে যাবে।
জানা গেছে, আইএমএফ থেকে বাজেট সহায়তা হিসেবে ৩ বছরের জন্য ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ নেওয়ার আলোচনা চলছে। কিছুদিনের মধ্যে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক চিঠি পাঠানো হবে আইএমএফে।
মূল্যস্ফীতি নিয়েও কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) গতকাল মঙ্গলবার জানিয়েছে, পয়েন্ট টু পয়েন্ট ভিত্তিতে জুনে সার্বিক মূল্যস্ফীতির হার দাঁড়িয়েছে সাত দশমিক ৫৬ শতাংশ। এ হার গত ৯ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ।
মূল্যস্ফীতির হারের বিষয়টি সাংবাদিকেরা ভিন্নভাবে মূল্যায়ন করছেন বলে মন্তব্য করেন অর্থমন্ত্রী। বলেন, ‘মূল্যস্ফীতি মাসের ভিত্তিতে হিসাব করা হচ্ছে। অথচ এটা হবে এক বছরের গড় মূল্যস্ফীতি। এখন গড় মূল্যস্ফীতি ৫ দশমিক ৯ শতাংশ। এক মাসের ৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ নিয়ে আমরা আতঙ্কিত হয়ে গেছি। ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ দায়িত্বভার নেওয়ার সময় মূল্যস্ফীতি ছিল ১২ দশমিক ৩ শতাংশ।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আপনারা যেগুলো বলেন, আরও সত্যি কথা বলা উচিত। মূল্যস্ফীতি কখনো দৈনিক ভিত্তিতে হয় না, সাপ্তাহিক ভিত্তিতেও হয় না। মূল্যস্ফীতি মানে হচ্ছে বছরের গড় মূল্যস্ফীতি।’