নিউজ ডেস্ক
মসজিদ আল্লাহর ঘর। মসজিদ নির্মাণ ছিল মুসলমান সমাজের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। সমাজে মসজিদের সঙ্গে যুক্ত পাঠাগার, দাতব্য চিকিৎসাকেন্দ্র, পরামর্শকেন্দ্র, মুসাফিরখানা, হেফজখানাসহ নানাবিধ শিক্ষা ও সামাজিক প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশের বৃহত্তম জনগোষ্ঠী মুসলমান। প্রত্নতাত্বিক নিদর্শন হিসেবে অসংখ্য প্রাচীন মসজিদ বাংলাদেশে বিদ্যমান।
মসজিদভিত্তিক সমাজের ঐতিহাসিক গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে ইসলামী মূল্যবোধের প্রসার ও ইসলামী সংস্কৃতি বিকাশের উদ্দেশ্যে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের ২০১৪ সালের নির্বাচনী ইশতেহারে প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে উন্নত মসজিদ নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। সে প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশনা প্রদান করেন যে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে একটি মডেল মসজিদ নির্মাণ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় একটি করে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে, যার বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসেবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নির্মাণকারী সংস্থার দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে গণপূর্ত অধিদপ্তরকে। এ প্রকল্পের প্রাক্কালন ব্যয় ধরা হয়েছে আট হাজার ৭২২ কোটি টাকা, যার পুরোটাই বাংলাদেশ সরকার অর্থায়ন করবে। প্রকল্পের মেয়াদকাল ধরা হয়েছে এপ্রিল ২০১৭ থেকে ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত।
প্রতিটি জেলা ও উপজেলায় ১টি করে মোট ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ৪,৪০,৪৪০ পুরুষ এবং ৩১,৪০০ নারীর নামাজ পড়ার সুযোগ হবে। পবিত্র কোরআন ও হাদিসের জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে ৩৪,০০০ পাঠকের জন্য লাইব্রেরি সুবিধা নিশ্চিত হবে। প্রতিদিন ৬,৮০০ গবেষকের গবেষণার সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রতিদিন ৫৬,০০০ মুসল্লির দ্বীনি দাওয়াতি কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ হবে। প্রতিবছর ১৪,০০০ শিক্ষার্থীর কোরআন হিফজ করার সুযোগ সৃষ্টি হবে। প্রতিবছর ১৬,৮০০ শিশুর প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের ব্যবস্থা তৈরি হবে। প্রতিদিন ২,২৪০ দেশি-বিদেশি অতিথির আবাসনের সুবিধা পাওয়া যাবে।
দেশব্যাপী ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র তৃণমূল পর্যায়ে ইসলাম ধর্মের সঠিক প্রচার-প্রসারে ভূমিকা রাখবে। এই মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্রগুলো আলেম উলামা তৈরির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করবে।