ডেস্ক নিউজ
ইরাকের বাগদাদে ‘বাংলাদেশ―অ্যা হাব ফর ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট’ শীর্ষক সেমিনার আয়োজন করা হয়েছে। বাংলাদেশ দূতাবাসের বাগদাদ আয়োজিত সেমিনারে ইরাকের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সর্বমহলের ব্যবসায়ী নেতা এবং সিভিল সোসাইটির শতাধিক ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহণ করেন।
সেমিনারে বক্তারা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতিকে একটি রূপকথার সমতুল্য বলে অভিহিত করেন। রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ ফজলুল বারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দূতাবাসের প্রথম সচিব আবু সালেহ মোহাম্মাদ ইমরান।
সেমিনারে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির ধারাবাহিক প্রক্রিয়াসমূহ তুলে ধরা হয়। একই সাথে বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বাণিজ্য ও বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা ব্যাখ্যা করা হয়।
সেমিনারে তথ্য প্রকাশ করা হয়, বিগত দুই বছরে ইরাক এবং বাংলাদেশের মধ্যে মোট বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় চারগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। বাংলাদেশের বাজারে খেজুরের প্রায় ৮০ শতাংশ ইরাক থেকে আসে যার পরিমাণ গত এক বছরে ২০১৯-২০ অর্থ বছরের ৭ মিলিয়ন থেকে বেড়ে প্রায় ২৬ মিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া গত অর্থ বছরে ইরাক থেকে বিপুল পরিমাণ বিটুমিন ও পেট্রোকেমিকেল আমদানি শুরু হয়েছে। অপরদিকে ওষুধ ও গার্মেন্ট এর পাশাপাশি এ বছর প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ থেকে ইরাকে খাদ্যসামগ্রী রপ্তানি শুরু হয়েছে। প্রায় প্রতি বছরই বাংলাদেশ থেকে ইরাকের বাজারে পণ্যসামগ্রী রপ্তানি হার বৃদ্ধি পাচ্ছে। মোট দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ এক বছরে ১৪.৭ মিলিয়ন থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৭.২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ইরাকের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক জনাব আদিল খুদাইর আব্বাস বলেন, তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব উন্নতির তথ্য জানতে পেরে মুগ্ধ এবং বাংলাদেশ ও ইরাকের বাণিজ্য ক্ষেত্রে বিপুল সম্ভাবনা কাজে লাগাতে তাঁর মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সম্ভাব্য সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন।
দূতাবাসের রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যে বলেন, ইরাকের সর্বস্তরের জনগণের কাছ থেকে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠী যে অসামান্য সমর্থন পেয়েছেন তার জন্য বাংলাদেশে চিরকৃতজ্ঞ থাকবে।