ডেস্ক নিউজ
শেয়ারবাজারের চলমান সংকটে বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ফ্লোর প্রাইস (দর পতনের সর্বনিম্ন সীমা) বেঁধে দিল নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে এসএমই বোর্ড এই নির্দেশনার বাইরে থাকবে। গতকাল বিএসইসি এ সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। যা আগামী রবিবার থেকে কার্যকর হবে। এদিকে গতকালও শেয়ারবাজারে দরপতন হয়েছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সূচক ৬ হাজার পয়েন্টের নিচে নেমেছে।
বিএসইসির আদেশে বলা হয়েছে, শেষ পাঁচ কার্যদিবসের ক্লোজিং প্রাইসের গড় দর হবে প্রতিটি সিকিউরিটিজের ফ্লোর প্রাইস। আগামীকাল (পরবর্তী লেনদেন) থেকে এর উপরে সিকিউরিটিজের দর স্বাভাবিক হারে ওঠানামা করতে পারবে। তবে ফ্লোর প্রাইসের নিচে নামতে পারবে না। তবে কোম্পানির বোনাস শেয়ার বা রাইট শেয়ারের কারণে ফ্লোর প্রাইসে থাকা সিকিউরিটিজের দর সমন্বয় হবে। নতুন শেয়ারের ক্ষেত্রে প্রথম দিনের লেনদেনের ক্লোজিং প্রাইসকে ফ্লোর প্রাইস হিসেবে বিবেচনা করা হবে। ফ্লোর প্রাইসের নির্দেশনার বাহিরে থাকবে এসএমই বোর্ড। এসএমইতে বিদ্যমান নিয়মে ওঠানামা করবে।
৬ হাজার পয়েন্টের নিচে সূচক : বড় পতনের কবলে পড়ে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৬ হাজারের নিচে নেমে গেল। লেনদেন শেষে ডিএসইএক্স ৭৪.২৪ পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৯৮০.৫১ পয়েন্টে। ঈদ পরবর্তী টানা ৯ কার্যদিবস পতনের পর দুই কার্যদিবস উত্থান হয় শেয়ারবাজারে। গতকাল শেয়ারবাজারের সব সূচকই কমেছে। সূচকের সঙ্গে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট দর কমেছে। একই সঙ্গে কমেছে টাকার পরিমাণে লেনদেনও। টাকার পরিমাণে লেনদেন হয়েছে ৪৪১ কোটি ৭৭ লাখ টাকার। বুধবার লেনদেন হয়েছিল ৭৭৮ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। ডিএসইতে ৩৮০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৫টির শেয়ার ও ইউনিট দর বেড়েছে। দর কমেছে ৩৩৩টির এবং ২২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট দর অপরিবর্তিত রয়েছে। চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই এদিন ২০৪.০৪ কমে দাঁড়িয়েছে ১৭ হাজার ৫৯৭.৫৬ পয়েন্টে। এদিন সিএসইতে হাত বদল হওয়া ২৭১টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শেয়ার দর বেড়েছে ১৭টির কমেছে ২৪০টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ১৪টির দর। সিএসইতে ১১ কোটি ১১ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে।