নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরে মাদ্রাসা শিক্ষককে মারধরের মামলায় লক্ষীপুর খোলাবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বুধবার রাত সাড়ে ৮ টার দিকে শহরের কানাইখালি এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। পরে বৃহস্পতিবার তাকে আদালতে প্রেরণ করা হলে চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এএফএম গোলজার রহমান শুনানী শেষে মামলাটি আমলে নেন। এ সময় আসামী পক্ষ জামিন আবেদন করলে আদালতের বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।
পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা জানান, বুধবার বেলা ১১টার দিকে সদর উপজেলার লক্ষীপুর খোলাবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান নুরুজ্জামান কালুসহ স্থানীয় লোকজন হয়বতপুর গোলাম ইয়াছিনিয়া ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায় গিয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি বিলুপ্তির দাবি জানায়। এসময় মাদ্রাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাফর বরকতের সঙ্গে চেয়ারম্যানের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান সমর্থকরা শিক্ষক জাফরকে মারধর করে। পরে ঐ শিক্ষককে টেনে হিচরে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে পুনরায় মারধর করে আটকে রাখে। আশপাশের সিসিটিভির ক্যামেরায় শিক্ষক লাঞ্ছনাার এই দৃশ্যটি ধরা পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে ওই শিক্ষককে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। এই ঘটনায় ওই শিক্ষক বাদী হয়ে নাটোর সদর থানায় ৭ জনের নাম উল্লেখ করে মোট ১৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন, ইউপি চেয়ারম্যান নুরজ্জামান কালু, তার ছেলে জয়, ফারুক হোসেন, রফিক মহুরী, মজিবর রহমান, রুবেল ও সুফিয়ান। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৭/৮ জনের বিরুদ্ধে হামলা ও সহযোগীতার অভিযোগ করা হয়। মামলা দায়েরের পর পুলিশ অভিযুক্ত চেয়ারম্যানকে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করে। এ সময় চেয়ারম্যানের জামিনের আবেদন করেন তার আইনজীবী। পরে আদালতের বিচারক তার জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন।