ডেস্ক নিউজ
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির জমিতে সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে চায় সরকার। কী প্রক্রিয়ায় এই সৌর বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব তা যাচাই-বাছাই করার জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। চলতি সপ্তাহে গঠিত কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে মতামত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জ্বালানি বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (উন্নয়ন) প্রধান করে গঠিত এই ছয় সদস্যর কমিটিতে নবায়নযোগ্য জ্বালানি বিভাগের একজন এবং পিডিবির একজন প্রতিনিধি রয়েছে। বাকিরা সবাই জ্বালানি বিভাগের।
একই মন্ত্রণালয়ের অধীন হলেও বিদ্যুৎ বিভাগ জ্বালানি বিভাগের কোনও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। আবার জ্বালানি বিভাগও বিদ্যুৎ বিভাগের কোনও প্রকল্প বাস্তবায়ন করে না। এর আগে বিদ্যুৎ বিভাগ কয়লা খনি উন্নয়ন এবং এলএনজি আমদানি করার জন্য বন্দর নির্মাণ করতে চেয়েছিল। তবে জ্বালানি বিভাগের বিরোধিতার কারণে শেষ অবধি আর তা হয়ে ওঠেনি। যদিও সম্প্রতি একটি বিদ্যুৎ কোম্পানি এলএনজি আমদানির জন্য বন্দর নির্মাণে সরকারের অনুমোদন চেয়েছে।
বিদ্যুৎ বিভাগের সূত্র বলছে, তারা প্রথমে বড়পুকুরিয়ার জমিতে সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের জন্য প্রস্তাব দিয়েছিল।। তবে এই প্রস্তাবে বড় পুকুরিয়া কোল মাইন কোম্পানি রাজি হয়নি। তারা যৌথ উদ্যোগে নিজেরাই এখানে সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের পক্ষে।
নবায়নযোগ্য জ্বালানি উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (স্রেডা) এর আগে এক সমীক্ষায় বলেছিল, বড়পুকুরিয়ার জমিতে অন্তত ৩০ মেগাওয়াট সৌর বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব। যদিও এখন মনে করা হচ্ছে এখানে অন্তত ৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব।
গঠিত কমিটিকে বলা হয়েছে, যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করা সম্ভব সে বিষয়ে একটি প্রতিবেদন দিতে হবে সাধারণত নবায়নযোগ্য জ্বালানিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য একটি অভিজ্ঞ কোম্পানির সঙ্গে যৌথ কোম্পানি গঠন করতে হয়।
বড়পুকুরিয়া কয়লা খনি কর্তৃপক্ষ জানায়, বড়পুকুরিয়া থেকে কয়লা তোলার পর বিস্তীর্ণ এলাকা দেবে গেছে। এখানে সারা বছরই পানি থাকে। কোনও ফসল উৎপাদন করা যায় না।
খনির এক কর্মকর্তা জানান, ফসল উৎপাদন না হওয়ায় এই জমিতে আমরা সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে চাই। এ বিষয়ে পেট্রোবাংলা ইতোমধ্যে আমাদের সম্মতি দিয়েছে। আমাদের কোম্পানি বোর্ডও বিষয়টি অনুমোদন করেছে। এখন মন্ত্রণালয় থেকে কমিটি গঠন করা হয়েছে।