চাল আমদানিতে রেগুলেটরি ডিউটি আরোপ করেছে সরকার।কৃষকদের লোকসানের হাত থেকে বাঁচাতে বিভিন্ন মহল থেকে দাবির প্রেক্ষিতে আজ এই সিদ্ধান্ত এল।
জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এববিআর) থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চাল আমদানির ক্ষেত্রে রেগুলেটরি ডিউটি ২৫ শতাংশ করা হয়েছে। এই শুল্ক আগে ৩ শতাংশ ছিল। এছাড়াও চালের ওপর ৫ শতাংশ হারে অগ্রিম আয়কর আরোপ করা হয়েছে। এর বাইরে, আগের ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্ক বহাল রাখা হয়েছে।
সংস্থাটি জানিয়েছে, এই শুল্ক ও কর আরোপের ফলে চাল আমদানির ক্ষেত্রে মোট ৫৫ শতাংশ কর দিতে হবে। এর মধ্যে ২৫ শতাংশ শুল্ককর, ২৫ শতাংশ রেগুলেটরি শুল্ক এবং ৫ শতাংশ অগ্রিম আয়কর। গতকাল এনবিআরের জারি করা এই প্রজ্ঞাপনটি(এসআরও নং-১৩০) গতকাল থেকেই কার্যকর করা হয়েছে।
এ সংক্রান্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সিনিয়র সচিব ও এনবিআর চেয়ারম্যান মো. মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়া বলেন, চলতি ২০১৮-২০১৯ অর্থবছরে ১০ মাসে প্রায় ৩ লাখ ৩ হাজার টন চাল আমদানি করা হয়েছে। এতে দেশীয় কৃষকদের উৎপাদন খরচের চেয়ে কম মূল্যে চাল বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে। যার ফলে প্রান্তিক কৃষকরা আর্থিকভাবে বিপুল ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। কৃষকদের আর্থিক ক্ষতি থেকে রক্ষাকল্পে প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন অনুযায়ী আমরা আমদানি পর্যায়ে চালের ওপর আমদানি শুল্ককর বৃদ্ধি করেছি।
২০১৭ সালের মে মাসে হাওড়ে আগাম বন্যায় ফসলহানির পর সরকার চাল আমদানিতে শুল্ক উঠিয়ে দিয়েছিল। তখন সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, এ ক্ষতির ফলে ১০ লাখ টন চালের ঘাটতি হবে। কিন্তু গত দুই বছরে দেশে প্রায় ৬০ লাখ টন চাল আমদানি হয়েছে। এ অবস্থায় গত বছরের নভেম্বরে সরকার চাল আমদানিতে সব মিলিয়ে ২৮ শতাংশ শুল্ক আরোপ করে। এতে আমদানি কমলেও একেবারে বন্ধ হয়নি। বাড়তি উৎপাদন ও আমদানির চালের বাজারে চাপ তৈরি করছে, ফলে দাম নিয়মিত কমছে। ধানের ন্যায্যমূল্য না পাওয়ায় বিপদে পড়েছেন কৃষকরা।