নিউজ ডেস্ক:
ছাত্রদলের কাউন্সিলে আদালত কর্তৃক স্থগিতাদেশ থাকার পরও সংগঠনটির একটি পক্ষ কাউন্সিল করার পক্ষে গোপনে কাজ করছে। আদালতের আদেশ অমান্য করে গোপনে এই কাউন্সিলের পরিকল্পনা ছিলো বিএনপির।
জানা গেছে, পদ বাণিজ্য ও পছন্দের প্রার্থীদের যোগ্যতা অনুযায়ী পদায়ন নিশ্চিত করতে না পারার কোন্দলের জেরে গোপন এই পরিকল্পনা ফাঁস হয়ে যাওয়ায় পিঠ বাঁচাতে তড়িঘড়ি করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি প্রচার করে দলটি। এদিকে, নতুন এই ষড়যন্ত্রের বিষয়টি ফাঁস হয়ে যাওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছে বিএনপি।
রোববার (১৫ সেপ্টেম্বর) গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিবৃতিতে ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে কোন রকমের প্রচারে কান না দিতে আহ্বান জানায় বিএনপি। তবে সূত্র বলছে, গোপন কাউন্সিলের খবর প্রচার হয়ে যাওয়ায় হাইকমান্ডের চাপে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রচার করেন দলটি।
একটি গোপন সূত্রের বরাতে জানা গেছে, গোপনে ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিল আয়োজন করতে তৎপর হয়ে উঠেছিল দলটির দুটি পক্ষ। বিএনপির দুই যুগ্ম মহাসচিব রিজভী আহমেদ ও খায়রুল কবির খোকন ছাত্রদল নেতাদের সমন্বয় করে ১৮ তারিখ গোপনে কাউন্সিল আয়োজনের পরিকল্পনা করছিলেন। কিন্তু ছাত্রদলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে নিজেদের প্রার্থীদের নাম চূড়ান্ত করতে গিয়ে কোন্দলে জড়িয়ে পড়েন রিজভী ও খোকন। কাউন্সিলের ষড়যন্ত্র ও কোন্দলের বিষয়টি মহাসচিব মির্জা ফখরুল জানতে পেরে রিজভী ও খোকনকে তিরস্কার করেন এবং ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে মিথ্যাচার ও ভুয়া দাবি করে প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিতে নির্দেশ দেন তিনি।
মির্জা ফখরুলের নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বিএনপি। সেখানে দাবি করা হয়, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ছাত্রদলের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে বলে ফেসবুকে একটি পক্ষ মিথ্যাচার করছে। ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানানো হচ্ছে।
নিষেধাজ্ঞার পরও ছাত্রদলের কাউন্সিল নিয়ে চলমান গুঞ্জনের বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন বলেন, কে বা কারা নিষেধাজ্ঞার পরও ছাত্রদলের কাউন্সিল করতে ষড়যন্ত্র করছে। আমরা সেটি জেনে ছাত্র নেতাদের সতর্ক করে দিয়েছি।
গোপন ষড়যন্ত্রে সম্পৃক্ততার বিষয়ে জানতে চাইলে খোকন অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি বলেন, আমাকে বদনাম করতে দলের একটি পক্ষ এমন মিথ্যাচার করছে। আমি শুধু ছাত্র নেতাদের সাথে বিভিন্ন ইস্যুতে কথা বলেছি। আমি গোপনে কারো সাথে কোন ষড়যন্ত্র করিনি।