ডেস্ক নিউজ
গণপরিবহনে যৌন হয়রানি ঠেকাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ- ডিএমপি। আনুষ্ঠানিক সূচনা হিসেবে সম্প্রতি রাজধানীর লালবাগে দুটি কোম্পানির বাসের চালক ও হেলপারের তথ্য সংরক্ষণ ও বিশেষ পোশাকের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
রাজধানীর লালবাগ, নিউ মার্কেট ও তুরাগ এলাকায় বাসে যৌন হয়রানির কিছু ঘটনা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে। এছাড়াও চলতি পথে বিভিন্ন সময় নারীরা বাসের চালক-হেলপার ছাড়াও যাত্রীদের দ্বারা হয়রানির শিকার হচ্ছিলেন। এখন থেকে মালিক সমিতি ও পুলিশের সমন্বয়ে এ বিষয়ে নজরদারি করা হবে বলে জানা গেছে।
এ উদ্যোগের অংশ হিসেবেই বাস চালক ও হেলপারদের বিশেষ পোশাক দেওয়া হয়েছে। সামনে রাজধানীর প্রতিটি বাসেই এ ব্যবস্থা কার্যকর হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
পুলিশ বলছে, চালক ও হেলপারদের জন্য নতুন পোশাকে নিজের ও পরিবহনের নাম লেখা থাকবে। এছাড়া একটি সিরিয়াল নম্বরও দেওয়া থাকবে। এই নম্বরে তার পুরো ঠিকানাসহ এনআইডি কার্ড, জন্মসনদ এবং পরিবারের সদস্যদের কারও ফোন নম্বরও যুক্ত থাকবে।
পরিবহন মালিকরা তাদের ডাটাবেজে তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে রাখবেন। এতে বাসে অনাকাঙ্ক্ষিত কিছু ঘটলে পুলিশ দ্রুত অপরাধীকে খুঁজে বের করতে পারবে।
পুলিশ ও মালিক সমিতির নেতারা বলছেন, হয়রানি করলেই ধরা পড়বে, এমন ভয় থাকলে অনেকে অপরাধ করার কথা মাথাতেই আনবে না। আবার বিশেষ পোশাকে তাদের আলাদা করেও চেনা যাবে।
পাইলট প্রকল্প হিসেবে বিকাশ পরিবহন এবং মিরপুর মেট্রো সার্ভিস নামে দুটি কোম্পানির বাসের চালক এবং হেলপারদের জন্য নতুন পোশাক দেওয়া হয়েছে।
ডিএমপি লালবাগ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জাফর হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, বাসে যাত্রী হয়রানি ঠেকাতে লালবাগ বিভাগের পক্ষ থেকে দুটি পরিবহনের কোম্পানির বাস চালক ও হেলপারদের পোশাক দেওয়া হয়েছে। তারা সেটা ব্যবহার করছে কিনা সেটাও মনিটর করবো। মালিকদের সঙ্গে কথা বলে অন্য রুটের বাসগুলোতে এ ব্যবস্থা চালু করার আলোচনা চলছে।
ঢাকা জেলা বাস মালিক সমিতির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ ধরনের উদ্যোগ প্রশংসনীয়। চালক-হেলপারদের ড্রেস কোড থাকলে তারা অপরাধ করতে ভয় পাবে। চালক-হেলপারদের ইউনিফর্মে থাকলে যাত্রীরাও আস্থা পাবেন।