ডেস্ক নিউজ
বর্তমানে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে তিনটি পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছে এক কোটি পরিবার। টিসিবি কম দামে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি বিক্রি করছে উপকারভোগীদের কাছে। সেই পণ্য তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে চাল। প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
খোলাবাজার ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির পাশাপাশি গরিব মানুষের কষ্ট লাঘবে এবার সাশ্রয়ী দামে চাল বিক্রি করবে সরকার। ফ্যামিলি কার্ডধারী দেশের এক কোটি পরিবার ৩০ টাকা কেজি দরে ১০ কেজি করে চাল কেনার সুযোগ পাবেন।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নির্দেশ অনুযায়ী নিম্ন আয়ের মানুষকে এই ভর্তুকি সহায়তা দেয়া হচ্ছে। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য অধিদপ্তর দ্রুতই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের মাধ্যমে সরকারের এ সিদ্ধান্ত কার্যকর করবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র নিউজবাংলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
বর্তমানে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে তিনটি পণ্য কেনার সুযোগ পাচ্ছে এক কোটি পরিবার। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অধীন সরকারি বিপণনকারী সংস্থা টিসিবি কম দামে সয়াবিন তেল, ডাল ও চিনি বিক্রি করছে উপকারভোগীদের কাছে। সেই পণ্য তালিকায় নতুন করে যুক্ত হচ্ছে চাল।
খাদ্য সচিব ইসমাইল হোসেন নিউজবাংলাকে বলেন, ‘নিম্ন আয়ের মানুষকে সহায়তার উদ্দেশ্যে বর্তমানে টিসিবির মাধ্যমে কিছু পণ্য সাশ্রয়ী দামে বিক্রি করা হচ্ছে। ওই তালিকায় চাল যুক্ত করা হচ্ছে। ফ্যামিলি কার্ডধারীরা এ সুবিধা পাবেন।’
টিসিবির দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তা নিউজবাংলাকে বলেন, ‘আমাদের এক কোটি উপকারভোগীর মাঝে ভর্তুকি মূল্যে চাল বিক্রির জন্য খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রস্তাব দিয়েছে। তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।’
টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারীরা বর্তমানে সাশ্রয়ী দামে সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি মসুর ডাল ও এক কেজি চিনি কিনতে পারেন। প্রতি লিটার সয়াবিন তেল ১১০, প্রতি কেজি চিনি ৫৫ ও মসুর ডাল ৬৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়ে থাকে।
টিসিবিরি এই পণ্য তালিকায় নতুন করে যুক্ত হওয়া চালের দাম পড়বে প্রতি কেজি ৩০ টাকা। সবোর্চ্চ ১০ কেজি চাল দেয়া হবে একটি পরিবারকে। এক পরিবারে ৪ জন করে সদস্য ধরলে মোট চার কোটি মানুষ এ সুবিধা পাবে।
রমজান মাসের পর তেলসহ নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হয়ে ওঠার পরিস্থিতিতে গত মে মাসের মাঝামাঝি দেশজুড়ে ট্রাকে করে টিসিবির পণ্য বিপণন শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই সিদ্ধান্ত থেকে সরকার সরে আসে এবং সুলভ মূল্যে ফ্যামিলি কার্ডের মাধ্যমে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বিক্রির সিদ্ধান্ত নেয়। মোট এক কোটি পরিবারকে ফ্যামিলি কার্ডের আওতায় আনা হয়।
এদিকে সরকারের চলমান খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় গ্রাম পর্যায়ে ‘অতি দরিদ্র’ মানুষের জন্য ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি শুরু হচ্ছে ১ সেপ্টেম্বর। তা চলবে নভেম্বর পর্যন্ত। সারাদেশে ইউনিয়ন পর্যায়ে ৫০ লাখ উপকারভোগীর মাঝে ভর্তুকি মূল্যে এ চাল বিক্রি করা হবে।
গ্রামের পাশাপাশি শহরের গরিব মানুষকে সহায়তা করতে চালু আছে ওএমএস বা খোলা বাজারে চাল বিক্রি কার্যক্রম। সারা বছর ধরে এটি চালু থাকে।
ওএমএস কার্যক্রমেও চাল বিক্রিতে ভর্তুকি দেয় সরকার। এর আওতায় প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে একজন সর্বোচ্চ ৫ কেজি চাল কিনতে পারেন। এর জন্য কোনো কার্ডের প্রয়োজন হয় না। লাইনে দাঁড়িয়ে যে কেউ সাশ্রয়ী দামে এই চাল কিনতে পারেন। খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে খাদ্য অধিদপ্তর ট্রাকে করে এই চাল বিক্রি করে।