ডেস্ক নিউজ
চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) ভারত যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে তাঁর এই সফর। এই সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে। পাশাপাশি দ্বিপাক্ষিক অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলোও নিষ্পত্তির ইতিবাচক অগ্রগতি হতে পারে।
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর উপলক্ষে রবিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক বিশেষ উচ্চতায় পৌঁছেছে। এই সুসম্পর্কের কল্যাণে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে স্থলসীমা ও জলসীমার মতো বিষয়গুলো সমাধানের ঐতিহাসিক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছি। এছাড়া আরও দ্বিপাক্ষিক বিভিন্ন ইস্যুও সমাধান হয়েছে পারস্পরিক বোঝাপড়ার মাধ্যমে।
প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন সফরে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সাতটি সমঝোতা স্মারক সই হতে পারে জানিয়ে ড. মোমেন বলেন, তার সফরে দ্বিপাক্ষিক অনিষ্পন্ন ইস্যুগুলোও নিষ্পত্তির ইতিবাচক অগ্রগতি হতে পারে। পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট দ্বিপাক্ষিক নতুন উদ্যোগ গৃহীত হবে।
এবারের সফরে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে যেসব ভারতীয় সেনাসদস্য শহীদ হয়েছেন বা আহত হয়েছেন তাঁদের পরিবারের সদস্যদের মাঝে ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্টুডেন্ট স্কলারশিপ’ প্রদান করা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক বা স্নাতকোত্তর এ দুইটি পর্যায়ে স্কলারশিপ প্রদান করা হবে।
প্রধানমন্ত্রী এ অনুষ্ঠানে সশরীরে উপস্থিত থেকে শহীদ ও আহত ভারতীয় সেনাসদস্যদের পরিবারের মাঝে এ স্কলারশিপ নিজ হাতে তুলে দেবেন। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ভারতীয় সেনাসদস্যদের মহান আত্মত্যাগকে যথাযথ সম্মানের সাথে স্মরণ করা হবে।
৫ সেপ্টেম্বর দিল্লি পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রীয় আনুষ্ঠানিকতায় অভ্যর্থনা জানানো হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এছাড়া দেশটির নতুন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাতের কথা রয়েছে শেখ হাসিনার। সফর শেষে আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফিরবেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী এর আগে ২০১৯ সালের অক্টোবরে ভারত সফর করেন। করোনাভাইরাস মহামারির কারণে ২০২০ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে ভার্চুয়াল সামিটে অংশ নেন তিনি।
২০২১ সালে ভারতের সে সময়কার রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী মুজিববর্ষের আয়োজনে যোগ দিতে বাংলাদেশ সফর করেন।