ডেস্ক নিউজ
রাজধানীর চারপাশে বৃত্তাকার নৌপথে স্পিডবোটের (দ্রুতগতির নৌযান) মাধ্যমে যাত্রী পরিবহনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। শনিবার সকালে টঙ্গী নদীবন্দরে এ সেবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে।
বিআইডব্লিউটিএর নৌনিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
রফিকুল ইসলাম বলেন, আপাতত পরীক্ষামূলকভাবে দুটি রুটে পাঁচটি স্পিডবোট দিয়ে এই সেবা চালু করা হবে। পরে এটি আরও বিস্তৃত করার পরিকল্পনা রয়েছে।
প্রাথমিকভাবে নির্ধারিত রুট দুটি হচ্ছে টঙ্গী-কড্ডা ও টঙ্গী-উলুখোলা। এরপর কড্ডা-গাবতলী ও গাবতলী-সদরঘাট রুটে এ সেবা চালু করা হবে। রুট ঠিক হলেও এখন পর্যন্ত ভাড়া নির্ধারণ করা হয়নি।
বিআইডব্লিউটিএ সূত্রে জানা গেছে, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মেসার্স ইনফিনিটি মেরিটাইমের মাধ্যমে এ সেবা চালু করা হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি যেসব স্পিডবোট চালাবে, সেগুলো আগে মাওয়া ঘাটে চলত। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর মাওয়া ঘাটে স্পিডবোটের চাহিদা কমে গেছে। অন্যদিকে ঢাকা শহরে সড়কপথে যানজটের কারণে বৃত্তাকার নৌপথে নির্বিঘ্ন যাত্রী পরিবহনের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। ওই সম্ভাবনা কাজে লাগাতে নেওয়া হয়েছে এ উদ্যোগ।
বিআইডব্লিউটিএর জনসংযোগ কর্মকর্তা মোবারক হোসেন মজুমদার জানান, শনিবার বেলা ১১টায় টঙ্গী নদীবন্দরে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হবে। এতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমোডর গোলাম সাদেকসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
রাজধানীতে যানবাহনের চাপ কমাতে চারপাশ ঘিরে বৃত্তাকার নৌপথ চালুর উদ্যোগ নেওয়া হয় দুই দশক আগে ২০০০ সালে। কথা ছিল, এই নৌপথ দিয়ে ঢাকার এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে সহজে যাতায়াত করতে পারবে মানুষ। বৃত্তাকার নৌপথে ২০০৪, ২০১০, ২০১৩ ও ২০১৪ সালে চার দফা ওয়াটার বাস ও লঞ্চ নামানো হয়েছিল। তবে সব কটি কিছুদিনের মধ্যে বন্ধ হয়ে যায়। এবার নামানো হচ্ছে স্পিডবোট।