নিজস্ব প্রতিবেদক:
স্বপ্নকে বাস্তবে পরিনত করতে কোন বাধায় যেন বাধা নয়। সব বাধাকে উপেক্ষা করতে হয় কিভাবে তা কঠিন ভাবে বুঝতে শিখেছে রাসেল। তাই সে প্রাথমিক,মাধ্যমিকের গন্ডি পেরিয়ে এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরিক্ষার্থী। জন্মলগ্ন থেকেই তার দুই হাত নেই। নেই তার ডান পা । বাঁ পা রয়েছে, তাও আবার স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক ছোট। যে পা দিয়ে স্বাভাবিক ভাবে কোন কাজ করা অসম্ভব। কিন্তু অসম্ভবকে সম্ভবে রুপ দিয়েছে রাসেল। তার বাম পায়ের আঙ্গুলের ফাঁকে আমরা যখন কোন কিছু ধরার চিন্তাও করিনি ঠিক সময় কলম ধরর চলতি দাখিল পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধা। দেখা গেছে বৃহস্পতিবার এসএসসি পরিক্ষা শুরুতে সিংড়াতে পৌর এলাকার শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্রে দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসে সেই অদম্য রাসেল।
প্রতিবন্ধী পরিক্ষার্থী রাসেল মৃধা সিংড়া পৌর শহরের শোলাকুড়া মহল্লার দিনমজুর আব্দুর রহিম মৃধার ছেলে ও শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার ছাত্র। অভাব-অনটনের মাঝেও প্রতিবন্ধী রাসেল মৃধার লেখাপড়ার প্রতি আলাদা স্পৃহা দেখে তার দরিদ্র বাবা-মা হাল ছাড়েননি। তার উচ্চ শিক্ষার সেই স্বপ্ন আজ পূরণ হতে চলেছে। সে বিগত দিনে পিএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হয়।
পরিক্ষা কেন্দ্র পরিদর্শনে গিয়ে লেখাপড়ার প্রতি প্রবল আগ্রহ দেখে মুগ্ধ হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম এম সামিরুল ইসলাম।
রাসেল মৃধার বাবা আব্দুর রহিম মৃধা বলেন, লেখাপড়ার প্রতি ছেলের আগ্রহ দেখে দিনমজুরী করে পড়াশোনা করাচ্ছি। লেখাপড়া শিখে ছেলে একদিন আমাদের মুখ উজ্জল করবে।
শোলাকুড়া ইসলামিয়া আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মোর্তারফ হোসেন বলেন, রাসেল মৃধা এবছর দাখিল পরিক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে। বিগত পরিক্ষাগুলোতেও সে কৃতিত্বের সাথে সাফল্য অর্জন করেছে। আমরা আশাবাদী রাসেল এবারও ভালো ফলাফল অর্জন করবে। লেখাপড়া শিখে প্রতিষ্ঠিত হয়ে দেশ ও জাতির সেবা করতে পারে সেজন্য সকলের কাছে দোয়া কামনা করেন অধ্যক্ষ।