নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোর জেলা পরিষদ নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদের মনোনয়ন পত্র জমা দেওয়া তিন প্রার্থীর মধ্যে দুইজন প্রার্থীর প্রার্থীতা রির্টানিং অফিসার। আজ রবিবার বিকেলে প্রার্থীতা যাচাই বাছাই দিন শেষে স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান শাহ ও জাতীয় পাটি (জিএম কাদের গ্রুপ) এর ড, নূরন্নবী মৃধা। তাদের দুইজনেরই সমর্থক ও প্রস্তাবকরা তাদের দিক থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়ায় বাছাইয়ে রায়হান শাহ ও ড. নূরন্নবী মৃধার প্রার্থীতা বাতিল হয়ে যায়। ফলে বর্তমানর একাই টিকে রইলেন নাটোরের আওয়ামীলীগ নেতা ও দলের মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী বর্তমান জেল্ পরিষদ প্রশাসক সাজেদুর রহমান খান। আর যদি আপিল করে তাদের মনোনয়ন পত্র বৈধ করতে পারেন তবে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন হবে আর যদি না পরেন তাহলে সেই পদে নির্বাচন হবে না। এরফলে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় চেয়াম্যান নির্বাচিত হবেন আওয়ামীগ প্রার্থী সাজেদুর রহমান খান। অপরদিকে বাছাইকালে সাধারন সদস্য পদে চার প্রার্থীর প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে।
জেলা নির্বাচন অফিসার আনোয়ারুল হক জানান, প্রার্থীতা বাতিল হওয়ায় এখন চেয়ারম্যান পদে একজন এবং সাধারন সদস্য পদে ৩৫ এবং ১৩ জন সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মনোনয়ন পত্র বৈধ হয়েছে। জেলায় মোট ভোট ৮০৬ জন। ১৭ অক্টোবর ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এ ব্যাপারে মনোনয়ন পত্র বাতিল হওয়া দুই প্রার্থীর সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে স্বতন্ত্র প্রার্থী রায়হান শাহর মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। অপর প্রাথী জাতীয় পাটি (জিএম কাদের গ্রুপ) ড. নূরন্নবী মৃধা মোবাইল ফোন রিসিভ করে তিনি বলেন, যা বলার তা তিনি সাংবাদিক সম্মেলন করে বলবেন।
এই দুইজনের প্রার্থীতা বাতিল হওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পরিষদ নির্বাচনের রির্টানিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ বলেন, দুই প্রার্থীর প্রস্তাবক ও সর্মকরা এফিডেবিট ও লিখিত আকারে জানানোর পর তারা বাছাইয়ে শ্বশরীরে হাজির হন। তাদের ভুল বুঝিয়ে স্বাক্ষর নেয়া হয়েছে বলে তারা অভিযোগ করেন। প্রার্থীতা বাতিল হওয়া এই দুই চেয়ারম্যান প্রার্থী সদস্য পদে নির্বার্চন করবেন এমন কথা বলে তাদের কাছে থেকে প্রস্তাবক ও সমর্থক হিসেবে স্বাক্ষর করিয় নিয়েছিলেন। বিষয়টি জানতে পারার পর তারা তাদের সমর্থন প্রত্যাহার করে নেয়ার জন্য লিখিত আকারে জানিয়েছেন। তবে যাদের প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে তারা অবশ্যই আপিল করতে পারবেন।