নিজস্ব প্রতিবেদক:
নাটোরের নলডাঙ্গায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান ও তার সহযোগীদের মারপিটে আহত জামিউল আলম জীবন রাজশাহী মেডিকেলে মারা গেছে। আজ বুধবার দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় আসাদ সহ তিনজনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেছে নিহত জীবনের মা জাহানারা বেগম। নিহত জীবন উপজেলার রামশাহ কাজীপুর গ্রামের ফরহাদ হোসেন শাহ’র ছেলে।
মামলা সুত্রে জানা যায়, মসজিদের মাইকের যন্ত্রাংশ চুরির ঘটনায় নিজেকে নিজেকে নির্দোষ দাবী করে উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদের বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দেওয়ার অভিযোগ করে গত ১৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যার পরে আসাদ ও তার দুই ভাই সহ অজ্ঞাত ৪/৫ জন জামিউল আলম জীবনকে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা ও মারপিট করে। এ সময় জীবনের চিৎকারে জীবনের বাবা এগিয়ে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও মারপিট করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে চেয়ারম্যান আসাদ সহ অন্যরা পালিয়ে যায়। পরে আহত অবস্থায় তাদের দুইজনকে উদ্ধার করে নাটোর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবনের শারিরিক অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জামিউল আলম জীবন দুপুরে মারা যায়। এ ঘটনায় নিহত জীবনের মা বাদী হয়ে চেয়ারম্যান আসাদ ও তার দুই ভাইয়ের নাম সহ অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে অভিযুক্ত করে নলডাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে ঘটনার সাথে জড়িত চেয়ারম্যান আসাদ সহ সকল অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবীতে এলাকায় বিক্ষোভ করেছে স্থানীয়রা। এ ঘটনায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।